Site icon Jamuna Television

বিভিন্ন কর্মসূচিতে মৌলভীবাজার মুক্ত দিবস পালিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
স্মৃতিচারণ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে মৌলভীবাজার মুক্তদিবস।
শনিবার সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এর আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জাতীয় পতাকা  উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন অংশ গ্রহণ করে।
জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলামের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ।

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার হানাদারমুক্ত হয়। এই দিনে মৌলভীবাজারের শেরপুর ও শমসেরনগরে সম্মুখ যুদ্ধসহ মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী মৌলভীবাজার থেকে পিছু হটে। ৭৮জন মুক্তিযোদ্ধা ও অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষের প্রাণের বিনিময়ে মৌলভীবাজার হানাদার মুক্ত হয়।

মৌলভীবাজার শহরে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ছিল পাক বাহিনীর এই অঞ্চলের ব্রিগেড হেড কোয়ার্টার। যুদ্ধকালীন হানাদার বাহীনির টর্চার শেল হিসেবে পরিচিত বাংকারটি পিটিআইতে মাটি চাপা অবস্থায় আজো সাক্ষী হয়ে আছে। কমলগঞ্জ, রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলাকে হানাদারমুক্ত ঘোষণার পর ৫ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহীনি ও মিত্রবাহিনী তিনদিক থেকে আক্রমণের জন্য মৌলভীবাজার শহরের দিকে অগ্রসর হয়। ৬ ডিসেম্বর বর্ষিজোড়া, সালামীটিলা, এবং শমসেরনগর সড়ক এলাকায় মুক্তিবাহীনি ও মিত্রবাহিনীর সঙ্গে পাকসেনাদের ব্যাপক যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের এক পর্যায়ে হানাদার বাহিনী  ৭ ডিসেম্বর সিলেটের দিকে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে মৌলভীবাজার। এরপর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে ৮ ডিসেম্বর তৎকালীন মহকুমা হাকিমের কার্যালয় (বর্তমান জর্জ র্কোট ভবনে) মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

Exit mobile version