Site icon Jamuna Television

‘আইপিএল’ খেলে ছেলের ২৭ লাখ টাকা ঋণ, মায়ের আত্মহত্যা

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) করেসপনডেন্ট:

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আইপিএল খেলা দেখে বাজি ধরে ২৭ লাখ টাকা ঋণগ্রস্ত হন অনিল পাল। পাওনাদার দেনা পরিশোধে চাপ দিতে বাড়িতে এলে তা সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তার মা দিপালী রানী পাল (৫৫)।

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দিপালী রানী। তিনি ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ পালপাড়া গ্রামে নিরঞ্জন পালের স্ত্রী ও অনিল পালের মা।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, দিপালী রানী পাল দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। এর মধ্যেই ভাঙ্গা বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী তার ছেলে অনিল পাল আইপিএল খেলে ২৭ লাখ টাকা ঋণ বা দেনা হয়ে পড়ে । পাওনাদারদের চাপে স্বর্ণ ব্যবসায়ী অনিল পাল ব্যবসা বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু পাওনাদাররা তার বাড়িতে গিয়ে টাকা আদায় করার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে। 

পাওনাদারের চাপ মা দিপালী রানী সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকালে ইদুর মারার ঔষধ পান করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাড়ির লোকজন দিপালী রানীকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

দিপালী রানীর এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।

এ বিষয় হামিরদী ইউনিয়নের পরিষদের মেম্বার ও মুনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. আলমগীর মোল্লা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ছেলে আইপিএল খেলে অনেক টাকা দেনা হয়ে পড়ে। বাড়িতে পাওনাদাররা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। তাছাড়া দিপালী রানী কিছুটা অসুস্থ ছিল। সবমিলিয়ে মনের দুঃখে কষ্টে ইঁদুরের বিষ পান করে আত্মহত্যা করে। 

এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোকছেদুর রহমান জানান, ইদুরের ওষুধ খেয়ে দিপালী রানী পাল নামের এক মহিলা আত্মহত্যা করেছে। পুলিশি কার্যক্রম অব্যহত আছে।

/এমএইচ

Exit mobile version