Site icon Jamuna Television

সবজিতে স্বস্তি, চড়া চাল-মাছ-মুরগির বাজার

রাজধানীর মাছ বাজারে বেড়েই চলেছে অস্বস্তি। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ ও চিংড়ি। সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন জাতের মাছের দাম বেড়েছে অন্তত ৫০ টাকা। এজন্য যোগান সংকট ও পরিবহন খরচকে দুষছেন বিক্রেতারা। ভোজ্যতেলে সিন্ডিকেটের দাপট কমেনি। চলছে, দাম বাড়ানোর পায়তারা। কমিয়ে দেয়া হয়েছে সয়াবিন তেলের সরবরাহ। সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কমেছে প্রতিটি শীতকালীন সবজির।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর বেশকিছু বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন তথ্য।

চড়াভাব কাটেনি পোল্ট্রি বাজারে। এক কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। আর সোনালির জন্য গুণতে হবে ৩৪০ টাকা।

বেশ কিছুদিন স্থিতিশীল থাকার পর, এবার দামের আচ লেগেছে মাছের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে সব জাতের মাছ কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। অস্বাভাবিক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ ও চিংড়ি। এক কেজি আকারের ইলিশের জন্য গুণতে হবে আড়াই হাজার টাকা্ ১২শ’ থেকে ১৫শ’ টাকার নীচে মিলছে গলদা ও বাগদা চিংড়ি। এমনকি চাষের রুই-কাতলার জন্যও দিতে হচ্ছে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। দাম বৃদ্ধির জন্য হঠাত করে মাছের যোগান কমে যাওয়া এবং অতিরিক্ত পরিবহন খরচকে দুষছেন বিক্রেতারা।

সব ধরনের আলুর দাম কমেছে। একইসঙ্গে কমেছে চায়না আদার দামও। মান ও আকারভেদে প্রতি কেজি নতুন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। এর মধ্যে ছোট আকারের পেঁয়াজ ৫০ টাকা এবং বড় আকারের পেঁয়াজ ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা, নতুন লাল আলু ২৫ টাকায়। নতুন বগুড়ার আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আজ দেশি রসুন ২৪০ টাকা, চায়না রসুন ২২০-২৩০ টাকা, চায়না আদা ২০০-২২০ টাকা, নতুন ভারতীয় আদা ১২০ দরে বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন শাকসবজিতে ভরপুর বাজার। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় রাজধানীতে এখন অনেকটাই স্থিতিশীল এই বাজার। বেশিরভাগ সবজি মিলছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। প্রতি কেজি করলা, বরবটি, চিচিঙ্গা, ঢেড়স, পটলের জন্য দিতে হবে ৮০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।

ভোজ্যতেলের সংকট তৈরি হয়েছে মুদি দোকানে। সয়াবিন তেলের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। সিন্ডিকেট করে সংকট তৈরি করা হচ্ছে-এমন অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের।

৭৫০ টাকা কেজিতে অপরিবর্তিত আছে গরুর মাংসের বাজার। কেজিতে ৫০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে খাসীর মাংস মিলছে ১১শ’ ৫০ টাকায়।

/এমএইচআর

Exit mobile version