সিনিয়র করেসপনডেন্ট, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জে প্রতিষ্ঠার পর প্রায় আট বছরেও হয়নি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস। বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি কেউ। বিগত সময়ে দুর্নীতি আর নিয়োগ বাণিজ্যের কারণেই হয়নি কোনো অগ্রগতি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অস্থায়ীভাবে তিনটি কলেজের ভবনে এক হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানের ব্যবস্থা করা হলেও ভোগান্তি কমছে না।
জানা যায়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কবিগুরুর গোচারণ ভূমিতে, জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে ২২৫ একর। আর ২০১৭ সালেই এই প্রকল্পের জন্য বাজেট ধরা হয় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করতে ৫৯৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাবনা এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
২০১৫ সালের ৮ মে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। বর্তমানে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ১২টি অনুষদের অধীনে চলছে পাঠদান। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে খেলার মাঠ না থাকায় শারীরিক, মানসিকসহ নানা সমস্যা উল্লেখ করে, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। বিভিন্ন সময় করেছেন বিক্ষোভ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি।
একজন ছাত্রী বলেন, ৭বছর ধরে স্থায়ী ক্যাম্পাস নেই। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ক্লাস করতে যায়। এতে আমাদের বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। অন্য আরেক একজন ছাত্র বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে যদি সুযোগ-সুবিধা না পায় তাহলে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাওয়ার কি মানে?
শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে আমাদের যে ন্যায্য প্রাপ্য অধিকার সেটা থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি। কারণ আমাদের একই কক্ষে একসঙ্গে ৭-৮ জন বসতে হচ্ছে। পাশাপাশি দুটি কক্ষে ৭টা ব্যাচের ক্লাস নিতে হচ্ছে।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন চেষ্টা করেছে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য কিন্তু সফল হয়নি। আমাদের প্রত্যাশা স্থায়ী ক্যাম্পাস করা হোক। শিক্ষার্থীদেরও প্রত্যাশা স্থায়ী ক্যাম্পাস হোক। তারা তাদের মতো আন্দোলন করছে, আমরা আমাদের মতো চেষ্টা করছি।
/এসআইএন
Leave a reply