ফাইল ছবি
চারদিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরের ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু হয়েছে। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় এক নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে।
চালু হওয়া ইউনিটটি ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন হলেও তা থেকে প্রতিদিন ৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলন করা কয়লা ব্যবহার করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদুৎ উৎপাদন করা হয়। কয়লাভিত্তিক এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫২৫ মেগাওয়াট। এর মধ্যে এক নম্বর ও দুই নম্বর ইউনিট মিলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ২৫০ মেগাওয়াট। তিন নম্বর ইউনিটটি ২৭৫ মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন সক্ষমতা সম্পন্ন।
এদিকে, দুই নম্বর ইউনিট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে। শুধু সচল ছিল এক ও তিন নম্বর ইউনিট। যা থেকে উৎপাদন হওয়া প্রায় ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়।
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তিন নম্বর ইউনিট বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধু চালু ছিল এক নম্বর ইউনিটটি। সেই ইউনিটে বয়লারে লিকেজ হওয়ায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক নম্বর ইউনিটটিও বন্ধ করা হয়। ফলে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের উৎপাদন কার্যক্রম। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চারদিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর মেরামত শেষে শনিবার থেকে উৎপাদন শুরু করা হয়েছে।
বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, ১৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ১২৫ মেগাওয়াটের এক নম্বর ইউনিটে বয়লারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে, ১৫ ফেব্রুয়ারি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সচল তিন নম্বর ইউনিটিও একই কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়।
মেরামত শেষে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়েছে। তবে তিন নম্বর ইউনিটটি মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। দ্রুতই সেটিও চালু করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
/এনকে
Leave a reply