Site icon Jamuna Television

ভ্যাট বৃদ্ধি: মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব না পড়লেও ব্যয় বেড়েছে

রিমন রহমান:

কোনো পক্ষের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে শতাধিক পণ্য ও সেবায় শুল্ক-কর বাড়িয়েছে সরকার। আর্থিক টানাপোড়েন কাটিয়ে উঠতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে মূল্যস্ফীতিতে তেমন প্রভাব না পড়লেও ভোক্তার ব্যয় বেড়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে শুল্কারোপের ফলে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের। গত ডিসেম্বর মাসের খাদ্যে ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ ও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ ছিল। এদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে খাদ্যে ১০ দশমিক ৮২ শতাংশ ও সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ ছিল। সুতরাং মূল্যস্ফীতির হার কিছুটা নিম্নগামী।

যে সকল পণ্যের ভোগ ব্যয় ধরে মূল্যস্ফীতির হিসাব নিরুপণ হয় তার মধ্যে ভ্যাট বৃদ্ধি পাওয়া পণ্যের সংখ্যা কম। ফলে ব্যয় বাড়লেও মূল্যস্ফীতিতে এর প্রভাব নেই।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের মোট ব্যয়ের একটি বড় অংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে খরচ হয়। যেমন চালের জন্য মোট ব্যয়ের ২০ থেকে ২২ শতাংশ যায়। প্রতি মাসে মোট ব্যয়ের দুই শতাংশ একটি পণ্যের ওপর খরচ করলে কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্সে (সিপিআই) হিসেবে এর ওজন হবে দুই শতাংশ। তাছাড়া উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বেশিরভাগ মানুষই কষ্টের মধ্যে রয়েছে।

এদিকে, দীর্ঘসময় ধরে উচ্চ মুল্যস্ফীতিতের ফলে অনেকেই চাহিদার লাগাম টেনেছেন। সাধ আর সাধ্যের হিসাব মেলাতে হিমশিম অবস্থা তাদের। অপরদিকে, ব্যবসায় ভ্যাট বৃদ্ধিসহ অন্যান্য খরচ বাড়ায় উৎপাদন কমেছে। ফলে বেচাবিক্রি কমছে। পাশাপাশি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানও কমেছে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, এর ফলে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেক ক্ষতি হবে। এক্ষেত্রে তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাবে। ফলে খুচরা বিক্রিও কমে যাবে। এটি হলে পাইকারি বিক্রেতাদের ওপরেও প্রভাব পড়বে।

অন্যদিকে, শতাধিক পণ্যের ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা চলছে। চাপের মধ্যে তিন থেকে চারটি পণ্য ও সেবায় ভ্যাট আগের জায়গায় নিয়ে এসেছে সরকার।

/আরএইচ

Exit mobile version