Site icon Jamuna Television

বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি: মূল পরিকল্পনাকারীসহ দু’জন গ্রেফতার, লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার 

স্টাফ করেসপনডেন্ট, টাঙ্গাইল:

ঢাকা-রাজশাহী সড়কে বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির আসল পরিকল্পনাকারী আলমগীরসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলায় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। গ্রেফতার দুজন হলেন, আলমগীর হোসেন (৩৪) এবং মো. রাজিব হোসেন (২১)।

পুলিশ সুপার জানান, এর আগে গ্রেফতার তিনজনের দেয়া তথ্যে সোমবার অভিযান চালিয়ে ডাকাতির ঘটনার ‘মাস্টারমাইন্ড’ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য আলমগীরকে নেত্রকোণা জেলার পুর্বধলা থানার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে প্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত ৪ হাজার দুইশত ১০ টাকা এবং দুটি রুপার আংটি উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে আলমগীর জানায় লুট করা মোবাইল সেট, ব্যবহার করা ছুড়ি ও নারীদের গহনা রাজিবের কাছে জমা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকার আশুলিয়ার থানার ধানসোনা এলাকার পলাশবাড়ি থেকে রাজিবকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় রাজিবের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল সেটসহ, গহনা ও তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতা আলমগীরকে ৭ দিন ও রাজিবকে ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে, গত শুক্রবার রাতে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, গত সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছেড়ে আসে। সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে ডাকাতি শুরু করে। প্রায় তিনঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি করে নেমে যায় ডাকাতরা। তারা বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর চালক বাসটি নিয়ে গন্তব্যে যেতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে যাত্রীদের চাপের মুখে বাস নিয়ে যাত্রা শুরু করেন চালক। মঙ্গলবার যাত্রীরা বাসটি নিয়ে বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে যান। বাসের যাত্রী ওমর আলী বাদী হয়ে শুক্রবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

/এনকে

Exit mobile version