Site icon Jamuna Television

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা ছাড়া কি রাশিয়ার বিপরীতে টিকতে পারবে ইউক্রেন?

মিসাইল থেকে শুরু করে মর্টার; ট্যাংক থেকে শুরু করে হেলিকপ্টার। কি নেই কিয়েভকে দেয়া মার্কিন সামরিক সহায়তায়? ২০২২ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের সর্বোচ্চ সামরিক সহায়তাকারী দেশের তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র।

জার্মান ভিত্তিক থিংকট্যাংক কিয়েল ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, গেল তিন বছরে কিয়েভের পেছনে প্রায় ১২০ বিলিয়ন ডলার ঢেলেছে ওয়াশিংটন। যার সিংহভাগই গেছে সামরিক সহায়তা খাতে। পরিসংখ্যান বলছে- এ পর্যন্ত ইউক্রেনকে আনুমানিক ৬৬ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এবার কিয়েভের কাধ থেকে পুরোপুরি হাত উঠে গেল ওয়াশিংটনের। যা গেম চেঞ্জার হিসেবে ধরা দেবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। বিশ্লেষকদের মত- পর্যাপ্ত অস্ত্র সহায়তা না পাওয়ায় সক্ষমতা হারাবে জেলেনস্কি বাহিনী। রুশ সেনাদের বিপরীতে সর্বোচ্চ তিন-চারমাস টিকতে পারবে ফ্রন্টলাইনে।

ইউক্রেনীয় সামরিক বিশেষজ্ঞ মিকোলা বিলিয়েসকভ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছাড়া ইউক্রেন তিন থেকে চার মাস টিকে থাকতে পারবে; খুব বেশি হলে তা ছয় মাস পর্যন্ত গড়াতে পারে। কিন্তু, ক্ষেপণাস্ত্র বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিস্ফোরকের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়তে হতে পারে। কেননা, প্যাট্রিয়ট মিসাইল সিস্টেমের বিস্ফোরক তৈরির সক্ষমতা ইউরোপের নেই। এটা শুধু যুক্তরাষ্ট্রই পারবে।

তবে, বিশাল এই শূন্যস্থান কি পূরণ করতে পারবে ইউরোপ? এমন প্রশ্নের বিপরীতে বিশ্লেষকদের উত্তর নেতিবাচক।ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টার প্রধান নির্বাহী ফাবিয়ান জুলিগ বলেন, ইউরোপের জন্য এই শূন্যস্থান পূরণ করা কষ্টকর। ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য পারমাণবিক শক্তিধর হলেও তারা যথেষ্ট নয়। অবশ্যই এখানে আরও বৃহত্তর জোটের দরকার। এখানে এমন দেশের দরকার যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রন্টলাইনে; যারা মস্কো থেকে হুমকি পাচ্ছে। জার্মানি এমন দেশ হতে পারে, কেননা তাদের এখন নতুন সরকার।

ইউক্রেনের সরকারি তথ্য বলছে— দেশটির প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্রের ৪০ শতাংশই তৈরি হয় কিয়েভে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৩০ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। আর বাকি ৩০ শতাংশ আসে অন্যান্য ইউরোপীয় মিত্রদের থেকে।

/এআই

Exit mobile version