হযরত শাহজালাল ও শাহপরান রহমতুল্লা আলাইহির মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। বিকেলে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা সিলেট পৌঁছান। ভোট চান জোটের প্রার্থীদের পক্ষে।
৩০ ডিসেম্বর সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে রাষ্ট্রের ওপর জনগনের মালিকানা ও গণতন্ত্র থাকবে না। এমনটা বলেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন। জনগণের মালিকানা না থাকলে স্বাধীনতাও থাকে না। গণতন্ত্রের স্বার্থে সকল বাধা পেরিয়ে নির্বাচনে থাকবে ঐক্যফ্রন্ট। বুধবার সন্ধ্যায় সিলেটের শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এসময় ড. কামাল হোসেন আরো বলেন, “ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের প্রতিদিন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত নয়। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাঠে থাকবো। সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করে নিতে হবে।” জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “৩০ তারিখ সকালে আপনারা ভোট প্রয়োগ করবেন। ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবেন। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাবো আমরা।” এ সময় তার সাথে ছিলেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা- আ স ম আব্দুর রব, কাদের সিদ্দিকী, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার দুপুরের আগেই মাজার এলাকায় জড়ো হন বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শরীক বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা। মাজারের প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হওয়া নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। মাজার জিয়ারতের পর ড. কামালের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার এলাকায় ও আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে অপর একটি দল সিলেটের জৈন্ত্যাপুরের বটতলা এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।
এদিকে সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনী এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের মাতৃগাঁওয়ে গণসংযোগ করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় স্থানীয়দের কাছে ভোট চান ধানের শীষে। সবাইকে জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে দাড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। দিনশেষে সদর উপজেলার রুহিয়া ও নারগুন ইউনিয়নে প্রচারণা চালান মির্জা ফখরুল। বৃহস্পতিবার বগুড়া-৬ আসনে গণসংযোগ চালানোর কথা রয়েছে তার।

