বাউফল করেসপনডেন্ট:
ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের ইলিশ মাছের ৫টি অভয়াশ্রমে সকল ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ১ মার্চ থেকে এই নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়। এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে দুই মাস। তবে নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও সরকারি খাদ্য সহায়তা পায়নি পটুয়াখালীর বাউফলের সাড়ে ছয় হাজারের অধিক জেলে। অধিকাংশ জেলেদের নেই বিকল্প আয়ের উৎস। সহয়তা না পেয়ে জেলেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়া নদীর বাউফল অংশের চর রুস্তুম থেকে ভোলা জেলার চরভেদুরিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০০ কিলোমিটার নদী এলাকা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পরেছে। মোট ৬ হাজার ৫শ’ ২১জন নিবন্ধিত জেলে আছে এই উপজেলাতে। নিষেধাজ্ঞার সময়ে চার কিস্তিতে ৪০ কেজি করে মোট ১শ’ ৬০ কেজি চাল খাদ্য সহায়তা পায় তারা। তবে নিষেধাজ্ঞার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও উপজেলার জেলেরা খাদ্য সহায়তার চাল পায়নি বলে অভিযোগ জেলেদের।
বাউফল উপজেলার জেলেদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই মাছের সংকট দেখা দিয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের নদী ও সমুদ্রে।
নদী ও সমুদ্রের তলদেশে পানির স্তর কমে যাওয়ায় মাছের সংকট দেখা দেয়। তাই দীর্ঘদিন কষ্ট ও অভাব অনটনে দিন কাটছে তাদের। জেলেদের অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগেই তাদের সরকারি খাদ্য সহায়তার চাল দেয়ার কথা ছিলো। তবে এখনো চাল পায়নি তারা। সংসার চালাতে গিয়ে চরম বিপাকে পরেছেন এখানকার জেলেরা। সরকারি সহায়তা পেলে রমযান মাস তারা ইবাদত করে কাটাতে পারতেন। তাই চাল প্রদানের বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য অনুরোধ করেছেন বাউফল উপজেলার জেলারা।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার ঝান্টা যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, জনবলের অভাবে সহায়তা প্রদানে সামান্য বিলম্ব হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলেদের সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
/এআই
Leave a reply