Site icon Jamuna Television

পাকিস্তানে খেলতে যেতে না পারা ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য আক্ষেপের: সৌরভ গাঙ্গুলি

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মেগা ফাইনাল আজ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। পুরো টুর্নামেন্টে এক ভেন্যুতে খেলার সুবিধা পেয়েছে ভারত— এমন কথা শোনা গেছে অহরহ। ফাইনালের আগে এই মন্তব্যের জবাব দিলেন দেশটির সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি। তার মতে, পাকিস্তানের উইকেটে রীতিমতো রানবন্যা হয়। সেখানে ভারতীয় ব্যাটারদের খেলতে না পারাটাই বরং আক্ষেপের।

সৌরভের মতে ভারতীয় দল ইচ্ছে করে পাকিস্তানে খেলতে যায়নি বা নিজেদের পছন্দে দুবাইতে খেলছে, বিষয়টা এমন না। দেশটির সরকার পাকিস্তানে যেতে খেলোয়াড়দের অনুমতি দেয়নি। যার কারণে তাদের বাইরে খেলতে হয়েছে। সৌরভ বলেন, কিসের পছন্দ? ভারত তো নিজেদের ইচ্ছায় সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলতে রাজি হয়নি। তারা পাকিস্তানে যেতে পারছে না, ভারতের সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। এজন্য খেলতে হচ্ছে (দুবাইয়ে)। এটা তো ভারতীয় দলের হাতে নেই।

ভারতীয় ব্যাটারদের আক্ষেপের কারণ বর্ণনা করে তিনি বলেন, আমি বলতে পারি, ভিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, কেএল রাহুল, শ্রেয়াস আইয়ারের মতো ব্যাটসম্যানদের বরং খারাপ লাগছে লাহোর ও করাচির মতো উইকেটে খেলতে না পেরে। অন্য দলগুলি যেখানে ৩৫০ রান তুলছে। ইংল্যান্ড সাড়ে তিনশ করেছে, অস্ট্রেলিয়া তাড়া করে জিতেছে। নিউ জিল্যান্ড ৩৬০ করেছে। দুবাইয়ে সেখানে ২৪০-২৫০ রান হচ্ছে। কোহলি, রোহিত, শ্রেয়াস, শুভমান গিলরা ভাবছে, দুবাইয়ে অমন উইকেট কেন পেলাম না আমরা! পেলে তো তিন-চারটি সেঞ্চুরি হয়ে যেত। পাকিস্তানের যেতে না পেরে বরং ভারতই সুযোগ হারাচ্ছে নিষ্প্রাণ উইকেটে খেলার।

সবশেষ দুইটি আইসিসি ইভেন্টে ভারতকেও প্রচুর ভ্রমণ করতে হয়েছে এবং তারপরও তারা একটি শিরোপা জিতেছে বলে মনে করিয়ে দেন সৌরভ। ২২ বছর আগের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের পদক্ষেপও আরেকবার স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বলেন, ভারত দেশের মাঠের বিশ্বকাপে ৯টি ভিন্ন শহরে খেলেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে প্রায় হাফ ডজন ভেন্যুতে খেলে।

তিনি বলেন, ২০০৩ বিশ্বকাপে অধিনায়ক ছিলাম আমি, তখন জিম্বাবুয়েতে সফরে যায়নি ইংল্যান্ড। তারা জিম্বাবুয়েকে পয়েন্ট দিয়ে দিয়েছে, কারণ সেখানে গিয়ে খেলবে না। কাজেই সব দেশেরই নিজস্ব ধরণ আছে সবকিছুর এবং আমার মনে হয়, পাকিস্তান সফরে না যাওয়ায় ভারতীয় দল ও সরকারের কোনো ভুল এখানে নেই।

/এমএইচআর

Exit mobile version