ঠাকুরগাঁওয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে যুবলীগ নেতাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

|

ঠাকুরগাঁও করেসপনডেন্ট:

গত ৪ আগস্ট ঠাকুরগাঁওয়ে ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীরকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে শিক্ষার্থীরা। রোববার (৯ মার্চ) ঠাকুরগাঁও আদালত চত্বরে ধর্ষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদে অংশ নিতে গিয়ে তাকে চিনে ফেলে। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।

মো. জাহাঙ্গীর যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পুলিশ লাইন ১নং ওয়ার্ডের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে।

শিক্ষার্থীরা জানান, গত ৪ আগস্ট ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় রামদা হাতে নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় জাহাঙ্গীর। সেসময় হামলায় গুরুতর আহত হয় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। কয়েক মাস পর ভোল পাল্টে তিনি জনতার কাতারে আসার নাটক করছিল। রোববার শহরের চৌরাস্তায় ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে অংশ নেয় যুবলীগ এই নেতা পরে আদালত চত্বরেও ধর্ষণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সমাবেশে অংশ নেয় তিনি। শিক্ষার্থীরা তাকে চিনে ফেললে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, জাহাঙ্গীরকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কি না তা দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁওয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার স্কুলশিক্ষক মানিককে আদালতে নেয়া হলে, তার ওপর চড়াও হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। স্কুলছাত্রীর ওপর নির্যাতনে অভিযুক্ত শিক্ষককে পুলিশের সামনেই মারধর করে তারা। বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়।

এর আগে আজ রোববার সকালে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে তোলা হলে। শিক্ষক মানিককে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

/এসআইএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply