Site icon Jamuna Television

সংবিধানে সুযোগ নেই, তবে আলোচনায় ট্রাম্পের ‘তৃতীয় দফা’

মার্কিন সংবিধানের ২২তম সংশোধনীতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, দুইবারের বেশি কেউ দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। নিয়ম না থাকলেও আবারও প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সবশেষ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যানন এই ইস্যুতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

ট্রাম্পের তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগ্রহ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, আবারও রিপাবলিকান এই নেতার প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কতটা?

বিশ্লেষকরা অবশ্য বলছেন, প্রচলতি আইনে তৃতীয় দফায় হোয়াইট হাউজে যাওয়ার দৌড়ে অংশ নিতে না পারলেও ক্ষ্যাপাটে ট্রাম্প এত সহজে হাল ছাড়বেন না। বলা হচ্ছে, নিশ্চিতভাবেই তার আইনজীবিরা ফাঁকফোকর বের করার চেষ্টা করবেন।

আইন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক পিটার মালাগুতি বলেছেন, সাংবিধান বিশ্লেষণ করলেই বলা যায়, প্রেসিডেন্ট পদে তিনি তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না। তবে, এ বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই যে ট্রাম্পের এমন আইনজীবীও রয়েছে, যারা তৃতীয় মেয়াদে তাকে ক্ষমতায় আনার জন্য সংবিধানের ফাঁকফোকর খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন।

মার্কিন সংবিধানের ১২তম সংশোধনী অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট মারা গেলে কিংবা অক্ষম হলে, ভাইস প্রেসিডেন্টের সামনে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পালনের সুযোগ থাকে। এ সুযোগকে নিতে ট্রাম্প ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করতে পারেন বলে মত বিশ্লেষকদের। তবে এ ক্ষেত্রেও রয়েছে জটিলতা। একই সংশোধনীতে বলা আছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে অযোগ্য কেউ ভাইস প্রেসিডেন্টও হতে পারবেন না।

অধ্যাপক পিটার মালাগুতি বলেন, আমার সন্দেহ হচ্ছে, ভান্সের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তিনি লড়াইয়ের চেষ্টা করতে পারেন। পরে ভান্স পদত্যাগ করলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প পদোন্নতি পাবেন। দ্বাদশ সংশোধনীতে অবশ্য বলা আছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্যতা না থাকলে কেউ ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারবে না। হয়তো পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে নানা যুক্তিতে সংশোধনীর এই অংশ তার আইনজীবীরা উপেক্ষা করার চেষ্টা করবে।

এদিকে, সংবিধানের কোনো সংশোধনী বাতিল করতে মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। যা বর্তমানে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির নেই।

/এমএন

Exit mobile version