আমেরিকার নয়া শুল্ক নীতি: বাংলাদেশসহ ১৮৫টি দেশ-অঞ্চলের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি

|

এবার যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্কের খড়গ পড়লো বাংলাদেশসহ ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর। বাংলাদেশি পণ্যে শুল্কের হার বাড়িয়ে ৩৭ শতাংশ ধার্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ন্যূনতম ১০ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ট্যারিফের কবলে পড়েছে এসব দেশ।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, অসম বাণিজ্যনীতির জবাব দিতেই এমন পদক্ষেপ। অভিযোগ, ৫ দশকের বেশি সময় ধরে বৈদেশিক বাণিজ্যে লুটপাট, নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল বুধবার (২ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকেলে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনের সংবাদ সম্মেলনে বিশাল এক খতিয়ান নিয়ে হাজির হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কোন দেশের সাথে কতটা বাণিজ্য ঘাটতি তুলে ধরেন সে তালিকা। কর চাপানোর এই তালিকা থেকে বাদ পড়েনি এশিয়া থেকে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা থেকে ইউরোপ কোনো অঞ্চল।

নতুন শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত ঘোষণার দিনটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিন আখ্যা দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তিনি এ সময় বলছিলেন, এই দিনের জন্য বহুকাল অপেক্ষা করেছি। এপ্রিলের ২ তারিখ, দিনটি আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এটা মার্কিন শিল্পের পুনর্জন্মের দিন। আমেরিকার লক্ষ্য পুনরুদ্ধারের দিন। আমেরিকাকে আবার সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলার সূচনার দিন।

এদিকে, দেশটিতে আগে বাংলাদেশের পণ্যে শুল্কের হার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। অতিরিক্ত শুল্কের কারণে দেশের রফতানি বাজার বিশেষ করে পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে ধারণা করছেন অর্থনীতিবিদরা। যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বড় অংশই তৈরি পোশাক।

পোশাক খাতে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলোর মধ্যে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়ার ওপর শুল্কের হার বাড়িয়ে যথাক্রমে ৩৪, ২৬, ৪৬ ও ৪৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর আরোপ হয়েছে ২০ শতাংশ শুল্ক। দক্ষিণ আফ্রিকার দক্ষিণের ছোট দেশ লেসেথোর ওপরও চাপানো হয়েছে ৫০ শতাংশ ট্যারিফ।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের দেশ ও করদাতাদের ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে। তবে আর তা হবে না। বিষয়টি খুব সাধারণ। আমাদের সাথে যা করা হবে, সেটাই তাদের সাথে করা হবে।

বেশিরভাগ দেশের ওপর ৫ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে বর্ধিত শুল্ক। কিছু দেশে ৯ এপ্রিল। দেশটিতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্কের পরিমাণ বেড়ে ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে ২০৩৪ সাল নাগাদ।

নিজ দেশের বাইরে তৈরি মোটরযানের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপেরও ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যা ঘোষণার কয়েকঘণ্টা পরই কার্যকরের কথা জানানো হয়।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply