ফরিদপুরে আ.লীগ-বিএনপির সংঘর্ষ, বাড়িঘর ভাঙচুর

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুরসহ বসত ঘরে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মুরুটিয়া গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন মাঝারদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হারুন মিয়ার ছেলে মিন্টু মিয়া এবং অপর পক্ষের নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্যা।

জানা গেছে, দলীয় কোন্দল, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপুরে দুই পক্ষের তর্কবিতর্ক হয়। এসময় বেলায়েত মোল্যার সমর্থক আজিজুল শেখকে (৪০) কুপিয়ে জখম করা হয়। তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় উভয় পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এছাড়া কবির শেখ নামে একজনের বসতঘরে আগুন দেয়াসহ ১০ থেকে ১২টি খড় ও পাটকাঠির গাদায় আগুন দেয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। 

আওয়ামী লীগ নেতা আফছার মাতুব্বরের সমর্থক বেলায়েত মোল্যা বলেন, বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়া ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য টিটুল মিয়া আমাদের অনেকের কাছে টাকা চায়। এর প্রতিবাদ জানালে একজনকে কোপানো হয়, এর পরেই সংঘর্ষে শুরু হয়।

এদিকে বিএনপি নেতা মিন্টু মিয়া জানান,  রোযার ভেতর পাশ্ববর্তী খলিশপুট্টি মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে আমার সাথে গ্রাম থেকে অনেকেই গিয়ে অংশ নেয়, আর এতে ক্ষিপ্ত হয় আফছার চেয়ারম্যান ও তার ছেলে নাজমুল। ওরা আমার লোকদের পেঁয়াজ তোলায় বাধা দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছিল। এর প্রতিবাদে আজ তাদের রাস্তা দিয়ে যেতে বাধা দেয়ায় সংঘর্ষ শুরু হয়। এখন ওরা চাঁদা চাওয়ার মিথ্যাচার করছে।

এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply