Site icon Jamuna Television

অভিশংসনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ

দক্ষিণ কোরিয়ার একটি আদালত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে তার পদ থেকে অপসারণ করেছে। গত বছরের ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারি করে ইউন সুক-ইওল জনগণের অধিকার ‘লঙ্ঘন’ করেছেন বলে জানিয়েছে আদালত।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) পূর্ব এশিয়ার দেশটির সাংবিধানিক আদালত এই রায় দেয়। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, অভিশংসিত প্রেসিডেন্টের স্থায়ী অপসারণের পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে নতুনভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে হাল ধরে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী হান ডাক সু।

আদালতের রায়ের মধ্য দিয়ে দেশটিতে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতাময় অধ্যায়ের সমাপ্তি হতে চলেছে। চলমান টানাপড়েনের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হিমশিম খাচ্ছিল সিউল।

এছাড়া, ৬৪ বছর বয়সী ইউনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ফৌজদারি মামলার শুনানি চলছে। ওই মামলার কারণে দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতাসীন কোনও প্রেসিডেন্ট গত ১৫ জানুয়ারি গ্রেফতার হন। অবশ্য মার্চে তার গ্রেফতারি পরোয়ানাকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালত রায় দিলে তাকে জামিন দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩ ডিসেম্বর দেশে সামরিক আইন জারি করার মধ্য দিয়ে নিজের পতনের রাস্তা তৈরি করেন ইউন। অবশ্য বিরোধীদের চাপে সামরিক আইন জারির মাত্র ছয়ঘণ্টার মুখে তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন তিনি। এর কিছুদিন পরই তার অভিশংসন প্রস্তাব অনুমোদন করে দক্ষিণ কোরীয় পার্লামেন্ট।

প্রথম থেকেই ইউন দাবি করে আসছিলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রে থাকা বিদেশি অপশক্তিকে মূলোৎপাটনের জন্যই তিনি সামরিক আইন জারি করেছিলেন এবং সামরিক শাসন পুরোদমে চালুর কোনও ইচ্ছে তার ছিল না। তবে শুকনো কথায় চিড়ে ভেজাতে ব্যর্থ হন তিনি। দেশজুড়ে তার সমর্থক ও বিরোধীদের পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভে রাজনৈতিক অঙ্গনে অচলাবস্থা তৈরি হয়।

/এমএইচ

Exit mobile version