Site icon Jamuna Television

ইউনূস-মোদি বৈঠক কী বার্তা দিলো? বিশ্লেষকরা যা বলছেন

সিনিয়র করেসপনডেন্ট:

বাংলাদেশে ৫ আগস্টের সরকার পতনের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে বেশ শীতল সম্পর্ক। বিমসটেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল কয়েক দিন ধরেই। অবশেষে তা সম্পন্ন হলো উষ্ণ পরিবেশে। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষক আলতাফ পারভেজ বললেন, ভারতের দিকে হেলে পড়ে থাকবো না, গত ১৫ বছরে যেটা হয়েছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে একটা সুস্থ, স্বাভাবিক ও প্রয়োজনীয় সম্পর্ক আমাদের লাগবে যেটা উইন-উইন। তারাও জিতবে, আমরাও জিতবো। মুহাম্মদ ইউনূস চীন গিয়েছেন, পরের সপ্তাহেই ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করলেন। এতে একটা বার্তা দেয়া হলো যে বাংলাদেশ একটা ভারসাম্যপূর্ণ বিদেশনীতি চায়। এই বার্তাটা বহিঃবিশ্বের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক শাহাব এনাম খান বলেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে ভারতের সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি এখান থেকেই ঠিক হবে। সুতরাং সেদিক থেকে দেখলেও এটা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও একটু আলোচনা হয়েছে। ভারত দেখতে চাচ্ছে একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশের দিক থেকে অংশগ্রহণমূলকের কথা বলা হয়েছে।

দুই বিশ্লেষকই মনে করেন বিমসটেকের এবারের সম্মেলনে বাংলাদেশ গুরুত্ব পেয়েছে। আর আগামী সভাপতি পদে বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ঢাকার গুরুত্ব আরো বাড়বে বলে মনে করেন তারা।

শাহাব এনাম খান বলেন, বাংলাদেশের যে আগ্রহগুলো আছে, সেটা আঞ্চলিক, দ্বি-পাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এগুলো সভাপতি পদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা। তবে এটাও আমাদেরকে মনে রাখতে হবে যে বিমসটেক অনেক ক্ষেত্রেই সক্ষমতার অভাব এক্সপোজ করে। এর মূল কারণ, বড় রাষ্ট্রগুলো অনেক ক্ষেত্রেই আগ্রহী হন না।

আলতাফ পারভেজ বলেছেন, এই অঞ্চলে বাংলাদেশের গুরুত্বটা বেড়েছে। সেটা মিয়ানমার সংকটের কারণেই বেড়েছে। আমার ব্যক্তিগত মত হলো, ভারতের সাথে যেহেতু একটি বৈঠক হয়েছে, সার্ককে কীভাবে পুনরজ্জীবিত করা যায় তা নিয়ে কাজ করা।

দুই বিশ্লেষকই মনে করেন আবেগের জায়গা থেকে এই বৈঠকের মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক বাস্তবে এলো।

/এমএন

Exit mobile version