Site icon Jamuna Television

কোরআন তেলাওয়াতে ‘মার্চ ফর গাজা’র আনুষ্ঠানিকতা শুরু, স্টেজে আহমাদুল্লাহ-আজহারী-হাসনাত

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের কর্মসূচি ‘মার্চ ফর গাজা’র আনুষ্ঠানিকতা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

গণহত্যার প্রতিবাদে স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। এতে অংশ নেয়া সবার কন্ঠে গণহত্যা বন্ধ এবং স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা। অনেকের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত করো; গাজা রক্তে রঞ্জিত, বিশ্ব কেন নীরব’— এমন লেখা দেখা গেছে।

‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’ নামক প্ল্যাটফর্মের ডাকা এই কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, রাজনীতিবিদ, সামাজিক, ইসলামিক বক্তা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শীর্ষ ব্যক্তিরা।

জনস্রোত টেলে কর্মসূচির স্টেজে উপস্থিত হয়েছেন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারী, জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অনেকে।

দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ অংশ নিয়েছেন।

জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল করিম ও দক্ষিণের সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান-ও উপস্থিত হয়েছেন মার্চ ফর গাজায়।

এদিকে, সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করে মানুষ। মিছিলগুলোর কোনোটি শাহবাগ, কোনোটি দোয়েল চত্ত্বর, নীলক্ষেতের দিক থেকে উদ্যানে মিলিত হতে দেখা যায়। বেশিরভাগ মানুষের হাতে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের পতাকা।

কেউ কেউ আবার অভিনব পন্থায় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।

এই কর্মসূচিকে ঘিরে রাজধানীতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে যৌথবাহিনীকে টহল দিতে দেখা যায়। এ সময় কালো পতাকা হাতে নিয়ে আসা ব্যক্তিদের কাছ থেকে তা রেখে দিতে দেখা যায় সেনাবাহিনীকে।

কর্মসূচির আয়োজকরা জানান, নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জনমত গড়ে তুলতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

/এমএন

Exit mobile version