Site icon Jamuna Television

ওমানের মধ্যস্থতায় ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইতিবাচক’ আলোচনা

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে পরবর্তী সপ্তাহে আবারও আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাদর বিন হামাদ আল-বুসাইদি মধ্যস্থতা করেন। সেই সাথে আগামী সপ্তাহে উভয় পক্ষ আবার বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে। এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে দুই পক্ষ আলাদা কক্ষে অবস্থান করেন। সেই সাথে ওমানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্তাবাহকের ভূমিকা পালন করেন। ইরানের পক্ষে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভানচি, আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাগায়ি উপস্থিত ছিলেন।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বৈঠককে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ আখ্যা দিয়ে জানায়, এই ইস্যুগুলো অত্যন্ত জটিল এবং বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক সুবিধাজনক ফলাফলের দিকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।

এদিকে, ওমানে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার পদ্ধতি নিয়ে উভয় পক্ষের বক্তব্যে স্পষ্ট বিভেদ দেখা গেছে। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করলেও যে আলোচনা ‘প্রত্যক্ষ’ ও ‘একই কক্ষে’ হওয়ার কথা ছিলো, সেটি নিয়ে তেহরান জোর দিয়ে বলেছে যে বৈঠকটি কেবল ‘পরোক্ষ’ আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে।

আল জাজিরার কূটনৈতিক সম্পাদক জেমস বেইসের বরাত দিয়ে জানা গেছে, উভয় পক্ষকে তাদের অবস্থানপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে, যেখানে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও তাদের বিরোধের বিষয়গুলো (যেগুলোকে ‘রেড লাইন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে) সেই বিষয়গুলোও উল্লেখ করতে হবে।

তবে তেহরান স্পষ্ট করেছে যে আলোচনা শুধুমাত্র তাদের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সীমাবদ্ধ থাকবে। বৈঠকে দেশটির সামরিক সক্ষমতা বা মধ্যপ্রাচ্যে তাদের মিত্র শক্তিগুলো আলোচনায় মূল বিষয় ছিলো না।

এই বৈঠকের ঠিক আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে ফ্লোরিডা যাওয়ার পথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও ইরানকে সামরিক পদক্ষেপের জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেন, ‘আমি চাই না তাদের পরমাণু অস্ত্র থাকুক। আমি চাই ইরান একটি সুন্দর, মহান ও সুখী দেশ হোক। কিন্তু তারা পরমাণু অস্ত্র রাখতে পারবে না। শুক্রবার রাতে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ফ্লোরিডা যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প।

/এআই

Exit mobile version