বাউফল করেসপনডেন্ট:
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সাপ্তাহিক হাটের দিনে একটি বাজারে হামলায় ইজারাদার ও তার আপন দুই ভাইসহ ৬ জন আহত হয়। বুধবার (০৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার মমিনপুর বাজারে এ হামলার অভিযোগ ওঠে হাটের নতুন ইজারাদার (পহেলা বৈশাখ থেকে) মো. রুবেল ও স্থানীয় প্রভাবশালী নুর মোহাম্মদ আকনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, পহেলা বৈশাখ (১৪এপ্রিল) থেকে বাজারের দায়িত্ব নেয়ার কথা নতুন ইজারাদার মো. রুবেলের। বর্তমান ইজাদারকে ১৩ এপ্রিল দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও ভুক্তভোগীরা জানান, ১৪এপ্রিল থেকে নতুন ইজারাদারের দায়িত্ব নেয়ার কথা থাকলেও ০৯ এপ্রিল দুপুরেই বাজার দখল করতে আসেন। এসময় বর্তমান ইজারাদার কুদ্দুস বয়াতীর লোকজন বাধা দেয়। পরে সন্ধ্যার পর দেশীয় অস্ত্রসহ বাজারে অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্ত রুবেল ও নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে একদল লোক।
হামলার ঘটনায় বাজারের বর্তমান ইজারাদার আব্দুল কুদ্দুস বয়াতী (৫৫), রেজাউল বয়াতী (৪৫) এবং মামুন বয়াতী (৩৫), ইমরান (২৮) গুরুতর জখম হয়। সংকটকজনক অবস্থায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মাথায় জখম নিয়ে কুদ্দুস বয়াতী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ওই হামলায় আরও আহত হয় বাজারের তিন ব্যবসায়ী। ঘটনায় সময় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এতে সামান্য আহত হন হামলাকারীদের একজন।
যার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) কুদ্দুস বয়াতীর ভাতিজা ও হামলায় আহত ইমরান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন।
খবর পেয়ে অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ তার স্ত্রী তহমিনাকে দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করায়। এতে আসামি করা হয়েছে তাদেরই হামলায় আহত কুদ্দুস বয়াতী ও তার ভাইসহ একাধিক ভুক্তভোগীকে। পুলিশ সেই মামলা ১১ এপ্রিল এফআইআরও করেন।
এদিকে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আর পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন হামলার শিকার ভুক্তভোগীরাই।
ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত অফিসার ও বাউফল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, মারামারির ঘটনায় একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তারই অভিযোগ পেয়ে মামলা হয়েছে। এসময় তদন্ত শেষে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে প্রকৃত ঘটনা উঠে আসবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, মামলা এফআইআর করার বিষয়টি জানতে পারিনি। তবে বিনা কারণে কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন তিনি।
/এএইচএম
Leave a reply