জিও ব্যাগ ফেলেও ঠেকানো যাচ্ছে না অসময়ের ভাঙন

|

জামালপুর প্রতিনিধি:

যমুনা নদীর বাম তীরে ভাঙনের খবর নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর ভাঙনের কবলে হারিয়েছে গ্রামের পর গ্রাম, বাস্তুচ্যুত হয়েছে হিসাবের বাইরে বসতি। এবার অসময়ের তীব্র ভাঙনে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নদী গর্ভে গেছে অর্ধশত বসতবাড়ীসহ ফসলি জমি। আর ভাঙন হুমকিতে রয়েছে চর ডাকাতিয়া গ্রামের একমাত্র স্কুলসহ বিভিন্ন স্থাপনা। জরুরিভাবে কিছু জিওব্যাগ দিয়ে ডাম্পিং করা হলেও টিকেনি একদিনও। তাই নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্পের জন্য কাজ করা হচ্ছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।

দুই দশক ধরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার খোলাবাড়ি, হাজারী, মাগুরিহাট, খানপাড়া ও মাঝিপাড়াসহ প্রায় অর্ধশত গ্রাম নদী গর্ভে চলে গেছে এভাবেই।

তাই চরডাকাতিয়া এলাকার ভাঙন এখন নতুন কিছু নয়। যমুনার এই রুপ দেখে অভস্ত নদীপাড়ের বাসিন্দারা। তবে অসময়ের ভাঙনে কয়েকগুন দুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয় তাদের।

এ বছর এক মাস ধরে উপজেলার খোলাবাড়ি থেকে চরডাকাতিয়া হয়ে বড়খাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে তীব্র ভাঙন চলছে। জিও ব্যাগ ফেলেও কাজে না আসায় অবশিষ্ট বসতভিটা, মসজিদ ও একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কিছু স্থাপনা নদীর গর্ভে দ্রুত বিলীনের শঙ্কায় রয়েছে।

নদীভাঙনের শিকার হয়ে এলাকা ছাড়াসহ সড়কের পাশে দু’চালায় অশ্রয় নিয়েছে অনেকেই। এছাড়া ফসলি জমি হারিয়ে কাজ না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করছে পরিবারগুলো।

তবে জরুরিভাবে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে তীব্র ভাঙন ঠেকাতে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাউবোর জামালপুর কার্যালযয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান। এছাড়া নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে স্থায়ী প্রকল্প গ্রহণের কথা জানান তিনি।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply