ভারতের কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন

|

সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়,কলকাতা প্রতিনিধি:

ভারতের কাশ্মিরের অনন্তনাগ জেলার পর্যটনকেন্দ্র, পেহেলগামে বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই পর্যটক। হামলায় কেউ স্বামী হারিয়েছেন, কেউ আবার ছেলে! পরিজনদের হারিয়ে শোকে পাথর অনেকেই।

যারা প্রাণ বাঁচিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফিরতে পেরেছেন তাদের চোখেমুখেও আতঙ্কের ছাপ। আহতদের মধ্যে অনেকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।

গতকাল কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন কলকাতার পর্যটক বিতান অধিকারী। তিনি আমেরিকায় কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন আগে ছুটিতে কলকাতার বাড়ি ফিরেছিলেন এবং ১৬ এপ্রিল স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে কাশ্মির যান। সেখানেই ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা হিন্দু না মুসলমান এবং তারপর গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। বিতান ও তার স্ত্রী পুরো ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।

একই সঙ্গে জঙ্গিদের হাতে মৃত্যু হয় কলকাতার বেহালার বাসিন্দা সমীর গুহের। সরকারি কর্মচারী সমীরবাবুর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী শবরী গুহ ও মেয়ে শুভাঙ্গীর গুহ।

অন্যদিকে, কাশ্মিরে জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া জেলার ঝালদার বাসিন্দা মনীশ রঞ্জন মিশ্র। মঙ্গলবার বিকেলে জম্মু ও কাশ্মিরের পহেলগামে নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ২৬ জনের মধ্যে গোয়েন্দা ব্যুরোর (আইবি) এই কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি তার পরিবার নিয়ে কাশ্মির ঘুরতে গিয়েছিলেন। মনীশ হায়দ্রাবাদে আইবি অফিসে সেকশন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

আজ বুধবার সকালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে জানান, সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, কাশ্মিরের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক সহিংসতায় আমাদের রাজ্যের ৩ জন ব্যক্তি মারা গেছেন। দিল্লি বিমানবন্দরে আমাদের প্রশাসন নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সহায়তা এবং তাদের কলকাতায় পরবর্তী যাত্রার সকল ব্যবস্থা করছে। আজ বুধবার ভারতীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে বিমানটি কলকাতায় পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

ইতোমধ্যেই সন্ত্রাস আতঙ্কে পর্যটক শূন্য হতে বসেছে জম্মু ও কাশ্মীর উপত্যকা। যা সবথেকে বড় ধাক্কা হবে জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটন শিল্পে।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply