ফসলের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য কমিশন গঠনের আহ্বান

|

কৃষকের উৎপাদিত ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ, মূল্য কমিশন গঠন, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ও চালের মতো অন্যান্য ফসল সরাসরি ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ, কৃষিজোনভিত্তিক কমিউনিটি সংরক্ষণাগার এবং হিমাগার তৈরির উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে কৃষকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি) বাংলাদেশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রান্তিক কৃষকদের দীর্ঘদিনের মূল্য বঞ্চনার চিত্র এবং সম্প্রতি মেহেরপুরের পেঁয়াজ চাষী সাইফুল শেখের মর্মান্তিক আত্মহত্যার ঘটনায় সরেজমিন তথ্যানুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরার সময় এই দাবি জানানো হয়।

উল্লেখ্য, পেঁয়াজ চাষে লোকসান এবং ঋণ পরিশোধ করতে না পারার চাপে মেহেরপুরে পেঁয়াজ চাষী সাইফুল শেখ গত ২৬ মার্চ নিজ জমিতে বিষপান করেন এবং ২৮ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে খানি বাংলাদেশ মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করেন। তাতে ওঠে আসা প্রান্তিক কৃষকদের বাস্তবতার চিত্র এই সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয়।

সম্মেলনে বক্তারা কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার দীর্ঘদিনের চিত্র এবং এর পেছনের কারণ হিসেবে ফড়িয়াবাজি, সিন্ডিকেট, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য, পর্যাপ্ত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাব, দুর্বল বিপণন ব্যবস্থা, নীতিনির্ধারকদের মনযোগের অভাব এবং এক্ষেত্রে সরকারি উদাসীনতাকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।

খানি সভাপতি ড. জয়নুল আবেদীন বলেন, আমাদের এমন সংস্কার দরকার যেখানে উৎপাদক ও ভোক্তা উভয়ই লাভবান হয়। এই সংস্কারের জন্য আমাদের দরকার একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টা। তবে নেতৃত্বটা সরকারকেই দিতে হবে। আমরা হয়তো একটা কেস নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু আরও কত ঘটনা আছে যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না।

খানি এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান এবং তাদের ন্যায্য অধিকার ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply