Site icon Jamuna Television

শহীদকন্যা ধর্ষণ: অভিযুক্ত দু’জনের নেয়া হয়েছে ডিএনএ নমুনা

জুলাই আন্দোলনে শহীদের কলেজছাত্রী কিশোরীর মৃত্যুর পর এ বিষয়ে মুখ খুললো পুলিশ। ভুক্তভোগীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলার ২ আসামি এখনও পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে। রোববার (২৭ এপ্রিল) তাদের ডিএনএ নমুনা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী, এমন দাবি করে পরিবার। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত হয় তার। পটুয়াখালীতে গ্রামের বাড়িতে তার দাফনের কথা রয়েছে।

এদিকে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্টে আত্মহত্যার আলামত পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করে পুলিশ। তবে, শরীরের কোথাও আঘাত বা জোরাজুরির আলামত পাওয়া যায়নি। বলা হয়, লামিয়ার গলায় অর্ধ-চন্দ্রাকৃতির ফাঁসের চিহ্ন দেখা গেছে। ঘাঁড়ের পেছনের অংশ ছিল স্বাভাবিক। মৃতের দুই পা ও হাত স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া যায়। শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে শহীদের ওই কিশোরী মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।

এরপর ভুক্তভোগী তার মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে দায়ের হয়। মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

/এএস

Exit mobile version