Site icon Jamuna Television

হাসনাত আবদুল্লাহ’র ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ

গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

রোববার (৪ মে) হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পরে বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এজন্য তারা দায়ী করেন আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে। রাতের মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে না পারলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। এছাড়া হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন শিবির নেতাকর্মীরাও।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকা থেকে মশাল মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। মিছিলটি লালখান বাজার হয়ে কাজীর দেউড়ি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। হাসনাত আবদুল্লাহর ওপর হামলার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। বলেন, দলটিকে নিষিদ্ধ না করায় বারবার তারা হামলা চালানোর সাহস পাচ্ছে।

অন্যদিকে হাসনাতের নিজ এলাকা কুমিল্লার দেবিদ্বারে বিক্ষোভ করেন এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি মুক্তিযোদ্ধা চত্বর থেকে শুরু হয়ে দেবিদ্বার নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা।

রংপুরেও বিক্ষোভ করেছে এনসিপি ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।

উল্লেখ্য, গাজীপুরে নগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার রবিউল হাসান বলেন, সালনার কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটি অনুষ্ঠান শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন হাসনাত। চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় পৌঁছালে জ্যামে আটকে থাকা অবস্থায় ৪ থেকে ৫টি মোটরসাইকেলে হামলা করা হয় তার গাড়িতে। এতে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আহত হন হাসনাত।

তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পৌঁছে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

/এসআইএন

Exit mobile version