আওয়ামী লীগের আমলে যেসব গণমাধ্যম লাইসেন্স পেয়েছে, সেগুলো নিয়ে তদন্ত করা হবে। তারা কখন-কীভাবে লাইসেন্স পেলো এবং ভুয়া সাংবাদিক তৈরি করে তা দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলো, তা দেখা হবে।
সোমবার (৫ মে) দুপুরে তথ্যভবনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত সেমিনারে একথা বলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
তিনি বলেন, সরকার সাংবাদিকতায় ‘পজিটিভ কম্পিটিশন’ এবং ‘কোয়ালিটি’ চায়। এ সময় প্রফেশনালিজম তৈরি করতে ‘ব্যাড অ্যাপল’ বাদ দিয়ে ‘গুড অ্যাপল’ রাখার কথাও বলেন তিনি।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলাগুলো পর্যালোচনা করবে সরকার। হয়রানি প্রমাণিত হলে প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন, সম্প্রতি তিন জন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। যার পক্ষে নয় সরকার।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ওই টেলিভিশনে সরকারের পক্ষ থেকে কিংবা গোয়েন্দা সংস্থার কেউ কোনো ফোন করেনি। তারা নিজেরাই নিউজ বন্ধ করে দিলো। বিভিন্ন জায়গায় এমনভাবে প্রচার হলো, যেন সরকার বন্ধ করেছে। এমন কর্মকাণ্ডকে হঠকারীতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা কোনো ভালো লক্ষণ না।
বিগত ১৫ বছরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর প্রতিবাদ করে ক’জন সম্পাদক সম্পাদকীয় লিখেছেন, রিপোর্ট লিখেছেন, এর প্রমাণ আছে। এখন ডিজিটাল যুগে সব প্রমাণ থাকে। এগুলো সাধারণ মানুষের জানার অধিকার আছে, কারা সে সময় চুপ করে ছিল আর কারা সরব ছিল।
একই অনুষ্ঠানে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে, প্রভাবশালীদের কাছে জিম্মি থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমকে টিকিয়ে রাখতে টেকসই ব্যবসা মডেল দরকার।
এ সময় আওয়ামী লীগ আমলে করা রাজনৈতিক ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো নির্বাহী আদেশে বাতিলের দাবি জানান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান।
/এএইচএম
Leave a reply