Site icon Jamuna Television

আর্সেনালের স্বপ্নভঙ্গ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পিএসজি

প্রথম লেগে ঘরের মাঠে হেরেও ফাইনালের স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছিল ইংলিশ জায়ান্ট আর্সেনাল। আর সেই স্বপ্ন নিয়ে প্যারিসে উড়ে এসেছিল গানাররা। কিন্তু পার্ক দে প্রিন্সেসে এক রোমাঞ্চকর রাতের পর হতাশা ছাড়া কিছুই মিললো না মিকেল আর্তেতার দলেল। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে সব আশায় জল ঢেলে দেয় ফরাসি জায়ান্টরা।

ডোনারুম্মার দুর্দান্ত গোলকিপিং, রুইজ-হাকিমির জোড়া আঘাত আর সাকার জবাবও যথেষ্ট হয়নি। দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলের পরাজয়, দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে বিদায় নিল আর্সেনাল। আর পিএসজি এখন ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইন্টার মিলানের।

বুধবার (৭ মে) দিবাগত রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ইংলিশ ক্লাবটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা, দুই লেগ মিলিয় জয় ৩-১ গোলে। 

পিএসজি ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে খেলেছিলো, এর পরের বছর সেমিফাইনালে। দুই মৌসুমেই বড় তারকাদের মধ্যে নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপ্পে, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ারা ছিলেন। এরপর মেসি, তার পথ ধরে সার্জিও রামোস পিএসজিতে যোগ দেন। তারকার ছড়াছড়িতে পিএসজির সর্বোচ্চ অর্জন রাউন্ড অব সিক্সটিন। মেসি, নেইমার ও এমবাপ্পেরা পিএসজি ছাড়লে গত মৌসুমে দলটি সেমিফাইনালে খেলে, এবার ফাইনালে উঠলো মেসি-এমবাপ্পের মানের কাউকে ছাড়াই।

১-০ গোলের জয়ে পিএসজি ফাইনালে এক পা গত সপ্তাহেই দিয়ে রেখেছিলো। পার্ক দে প্রিন্সেসে আজ আর্সেনালের একের পর এক আক্রমণের বিপরীতে অসাধারণত্বের পরিচয় দেন গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুম্মা। তার কয়েকটি দারুণ সেভে প্রথমার্ধে জাল অক্ষত রাখতে সক্ষম হয় পিএসজি। তারাই প্রথম গোলের খাতা খুলে ফাইনালস্বপ্নকে আরও চাঙ্গা করে। থমাস পার্টের হেডে ডি বক্সের ভেতরেই বল পান ফ্যাবিয়ান রুইজ। বুকের ছোঁয়ায় বলটাকে একটু সরিয়েই বুলেটগতির ভলি শট নেন, ডেভিড রায়া ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি।

৬৫ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর লুইস স্কেলির হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। রেফারি ভাবনা-চিন্তার পর স্পট কিকের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। সেই শট নেন ভিতিনহা। কিন্তু তার নেওয়া কমজোর শট রায়া ফিরিয়ে দেন। পেনাল্টি মিস করলেও পিএসজিই পার্ক দে প্রিন্সেসে দ্বিতীয় গোলটি করে। ৭২ মিনিটে দুই ডিফেন্ডারের ফাঁক দিয়ে বাঁকানো শটে আশরাফ হাকিমি লক্ষ্যভেদ করেন।

আর্সেনাল একমাত্র গোলটি করে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে। বুকায়ো সাকার গোলে ব্যবধান কমায় তারা। চার মিনিট পর তিনি গোলমুখ থেকে বল উড়িয়ে না মারলে ম্যাচ জমে উঠতে পারতো।

/এমএইচ

Exit mobile version