Site icon Jamuna Television

ফেলনা ঝুঁট এখন সম্ভাবনাময়

বাড়ছে গার্মেন্টস ঝুঁট কাপড়ের চাহিদা। ফেলে দেয়া এই কাপড় দিয়েই বিপুল সংখ্যাক মানুষ এখন স্বাবলম্বী। এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাও। ঝুঁট কাপড় থেকে সুতা বের করে তা দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাহারি শীতবস্ত্র। আর এসব পোশাকই দখল করেছে স্থানীয় বাজার। ঝুঁট কাপড় থেকে সুতা তৈরির নানা পর্যায়ে এখন বাড়ছে যন্ত্রের ব্যবহার।

একটা সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গার্মেন্টস ঝুঁট কাপড় এনে হস্তচালিত মেশিনে সুতা ববিন হলেও এখন পাল্টেছে দৃশ্যপট। প্রত্যন্ত অঞ্চলেও এসেছে যন্ত্রচালিত কুনিং মেশিন।

বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলার শাঁওইল এলাকা এখন বেশ কর্মব্যস্ত। ২০টি গ্রামের সাত হাজার তাঁতী এই কাজে জড়িত। জীবিকা নির্বাহ করছে সব মিলিয়ে ৬০ হাজার মানুষ।

ঝুঁট কাপড় থেকে শুধু সুতা বের করেই কাজ শেষ হয় না। অনেকেই সেই সুতায় দেন ভিন্ন ভিন্ন রঙ। কিন্তু এলাকায় ডায়িং মেশিন না থাকায় রঙ করার জন্য সুতা পাঠাতে হয় ঢাকা অথবা নারায়ণগঞ্জ। এতে কমে যায় লাভের অংশ।

তাঁতশিল্প ও হ্যান্ডলুম ক্লাস্টারকে ঘিরে এই উপজেলায় দিনে আনা হয় প্রায় দেড়শ টন ঝুঁট কাপড়। সুতা তৈরির পর তা কেজিপ্রতি বিক্রিমূল্য ১৫০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত।

শাঁওইল বাজার হ্যান্ডলুম ক্লাস্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন। বলেন, এই ঝুঁট থেকে কেউ চাদর, সোয়েটার, কম্বলসহ নানা জিনিস বানায়। একটা বহুতল শেডের দরকার, যেখানে তাঁতীরা তাদের পণ্য প্রদর্শন করে বিক্রি করতে পারবে।

আদমদিঘীর হ্যান্ডলুম শিল্পে বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা। সম্ভাবনার পুরোটা কাজে লাগাতে দরকার অর্থায়ন। অবকাঠামোগত সুবিধাও নিশ্চিত করা দরকার বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন মুশফিকুর রহমান বলেন, এখানে অর্থনায়নে ব্যাংকাররা সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁতীরা যদি সরাসরি বায়ারকে পণ্য দিতে পারতো বা নিজেরা বিক্রি করতে পারত তবে তাদের লাভ আরেকটু বেশি হতো।

/এটিএম

Exit mobile version