Site icon Jamuna Television

আলোচনায় হারোপ ড্রোন, কীভাবে কাজ করে এই যুদ্ধাস্ত্র?

নতুন করে আলোচনায় হারোপ ড্রোন। পাকিস্তানে ভারতের ২৫টি হারোপ ড্রোন ভূপাতিতের পর থেকেই কৌতুহল ছড়িয়েছে এর বিশেষত্ব নিয়ে।

আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হিসেবে পরিচিত হারোপ ড্রোন। টু পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশনের মনুষ্যবিহীন আকাশযান এটি।

যা নির্মাণ করেছে ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ড্রাস্ট্রিজ। এটি একটি অত্যাধুনিক লয়টারিং মিউনিশন বা লক্ষ্যবস্তু খুঁজে তা ধ্বংস করতে সক্ষম যুদ্ধাস্ত্র। এটি একই সাথে নজরদারি ড্রোন ও প্রাণঘাতি ক্ষেপনাস্ত্র হিসেবে কাজ করে।

মাল্টি-মিশন ফ্লেক্সিবিলিটি হারোপকে যুদ্ধক্ষেত্রে দিয়েছে যুগান্তকারী সব সাফল্য। স্থল, নৌ ও শহরের জটিল পরিবেশের পাশাপাশি সন্ত্রাস দমন অভিযানের জন্য উপযুক্ত হারোপ ড্রোন। নির্দিষ্ট এলাকায় সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত ঘোরাঘুরি করতে পারে হারোপ ড্রোন।

সর্বোচ্চ ১ হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে লয়টারিং মুনিশন ড্রোনটি। বহন করতে পারে ২৩ কেজি ওজনের বিস্ফোরক।

হারোপ ড্রোনটির নকশায় ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত স্টেলথ প্রযুক্তি যার ফলে এটি সহজেই শত্রুপক্ষের রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম। অন্যান্য ড্রোনের চেয়ে হারোপের আকৃতি ছোট হওয়ায় শত্রু ঘাঁটির খুব কাছাকাছি গিয়ে হামলা করতে পারে। এমন গোপনীয়তা ও সুনির্দিষ্ট আক্রমণের ক্ষমতার জন্য হারোপ ড্রোনকে ধরা হয় আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হিসেবে।

২০০৯ সালে ভারতে আয়োজিত বিমান ও প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী- অ্যারো ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচিত হয় ইসরায়েল নির্মিত হারোপ ড্রোন। সে বছরই ১০টি হারোপ ড্রোন কিনতে প্রায় ১০ কোটি ডলার মূল্যের চুক্তি স্বাক্ষর করে দিল্লি। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে আরও ৫৪টি হারোপ নিজেদের ড্রোন বহরে যুক্ত করে ভারতের সামরিক বাহিনী।

/এমএইচ

Exit mobile version