গত ২২ এপ্রিল কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে সরাসরি যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে ভারত-পাকিস্তানে। এক পর্যায়ে মার্কিন মধ্যাস্থতায় সেই আবহ থেকে সরে আসে দেশ দুটি। এর মাঝে ব্যাহত হয় দু’দেশের বিমান পরিষেবা যার আঁচ লাগে হজ যাত্রাতে-ও। মুসলমানদের পবিত্র এ বার্ষিক ধর্মীয় সমাগমে যোগদান করতে পারবেন কি না— এ নিয়েও সংশয় তৈরি হয় পাকিস্তান ও ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের। তবে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতেই সেই পরিস্থিতি কেটে গেছে অনেকটাই।
ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, চলতি বছর জম্মু ও কাশ্মির থেকে ৩ হাজার ৬২২ জন হজযাত্রার জন্য নির্বাচিত হন। এরমধ্যে দিল্লি ও শ্রীনগর এই দুই রুট ধরে ৬৫৮ জন যাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। নিরাপত্তাজনিত কারণে ৯- ১৪ মে পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকবে, জম্মু ও কাশ্মির হজযাত্রা কমিটির এমন ঘোষণা আসায় এক পর্যায়ে শঙ্কায় পড়েন অনেকে। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ফলে বিমান পরিষেবা শিগগিরই চালু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ১৪ মে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।
Haj flights from Kashmir cancelled till 14th. pic.twitter.com/T9FigNIys6
— Raghvendra Mishra राघवेंद्र मिश्र (@Raghvendram14) May 10, 2025
অপরদিকে, পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পর দেশটির ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় হজ কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে সাতটি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছিল পাকিস্তান। এতে ভোগান্তিতে পড়ে ২ হাজার ২৯০ জন হজযাত্রী।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত ১ হাজার ১০০ জনকে এরইমধ্যে বিশেষ ফ্লাইটে সৌদি আরব পাঠানো হয়েছে। বাকিদেরও পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত, ১৯ হাজার ৬৬৯ জন পাকিস্তানি হজযাত্রী সফলভাবে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
/এমএইচআর
Leave a reply