Site icon Jamuna Television

স্কুল-কলেজের প্রাত্যহিক সমাবেশে নতুন শপথবাক্য, প্রজ্ঞাপন জারি

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাত্যহিক সমাবেশে শপথবাক্য পাঠ করার বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। বুধবার (২১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ নির্দেশনা দেয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ করতে নিম্নোক্ত দিকনির্দেশনামূলক একটি ‘শপথ’ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাত্যহিক সমাবেশে পাঠ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিবো। দেশের প্রতি অনুগত থাকিবো। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিবো। অন্যায় ও দুর্নীতি করিবো না এবং অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবো না।’

‘হে মহান আল্লাহ/ মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি আদর্শ, বৈষম্যহীন ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শপথবাক্য পাঠ সংক্রান্ত নির্দেশনার প্রজ্ঞাপন

এই প্রজ্ঞাপনের ফলে আওয়ামী লীগের শাসনামলে শপথবাক্যে যুক্ত হওয়া ‘মুক্তিযুদ্ধ’, ‘শেখ মুজিবুর রহমান’ ও ‘শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে না দেয়ার’ প্রত্যয়ের অংশগুলো বাদ পড়েছে।

অর্থাৎ নব্বই দশক ও একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে শপথ নেয়া হতো, পুনরায় সে শপথ বাক্যটিই পাঠ করতে বলা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ‘অন্যায় ও দুর্নীতি করবো না’ এবং ‘অন্যায় ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবো না’ অংশ দুইটি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট আগের (নব্বই দশকের নির্ধারিত) শপথবাক্য প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিটিআইয়ে জাতীয় সংগীতের পর পাঠের নির্দেশনা দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

এ শপথ বাক্যে বলা হয়েছিল, ‘আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিবো। দেশের প্রতি অনুগত থাকিবো। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে মহান আল্লাহ/মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।’

/এমএন

Exit mobile version