Site icon Jamuna Television

‘অনেকে মানুষ হত্যা করিয়েও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সেজে আছেন’

উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা, সুরকার ও অভিনেতা খান আতাউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে চলচ্চিত্র পরিবার।

আজ দুপুরে বিএফডিসিতে ‘দুঃখের কিছু কথা বলতে চাই’ শিরোনামে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর কড়া সমালোচনা করেন।

চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, বাচ্চুর মন্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। খান আতাকে ‘রাজাকার’ বলার মধ্য দিয়ে নাসির উদ্দিন ইউসুফ প্রকারান্তরে স্বাধীনতার বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়েছেন বলে মন্তব্য করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।

তিনি বলেন, কত লোক তো অন্যের ক্ষতি করে, মানুষকে হত্যা করিয়েও এখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে বেঁচে আছেন, বহাল তবিয়তে।

সম্প্রতি নিউইয়র্কে সাংস্কৃতিক অভিবাসী সমাবেশে খান আতাউর রহমানকে ‘রাজাকার’ বলেন বাচ্চু। দাবি করেন, তিনি না থাকলে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে মারা যেতেন খান আতা।

অনুষ্ঠানে বক্তারা খান আতাউর রহমানের অবদান তুলে ধরেন। অনেক সময় তাদের কথায় ক্ষোভও উঠে আসে। সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন চিত্রনায়ক-মুক্তিযোদ্ধা ফারুক, নির্মাতা আমজাদ হোসেন, সিবি জামান, আজিজুর রহমান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, খান আতার ছেলে কণ্ঠশিল্পী-অভিনেতা আগুনসহ আরও অনেকে।

পরিচালক আজিজুর রহমান বলেন, খান আতা মুক্তিযুদ্ধের সময় ঝুঁকি নিয়েও বাংলা চলচ্চিত্রের কাজ চালিয়ে নিয়েছেন। তো পাকিস্তানিদের হুমকি মাথায় নিয়েও যিনি কাজ করেছেন তিনি মুক্তিযোদ্ধা না রাজাকার? খান আতা ছিলেন, আছেন, থাকবেন।

পরিচালক সিবি জামান বলেন, ‘খান আতার মতো মানুষকে নিয়ে যারা এমন মন্তব্য করতে পারে তাদেরকে ঘৃণা করি।’

চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, ‌‌’খান আতা পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিটি মুক্তি পায় ৭৩ সালে। তখন বঙ্গবন্ধুর সরকার ক্ষমতায় ছিল। ছবিটি নিয়ে তখনই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। পরে মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জ্বল হোসেন মায়া (বর্তমান ত্রাণ ও ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী) ছবিটি রিভিউ করে এটি চালানোর অনুমতি দেন। মুক্তিযুদ্ধের সরকারই ছবিটি নিয়ে যখন আপত্তি করেনি তখন আপনি (নাসির উদ্দিন ইউসুফ) কেন খান আতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন। তার মানে আপনি স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলছেন!’

বক্তব্য পর্ব শেষে ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবিটি প্রদর্শিত হয়।

Exit mobile version