Site icon Jamuna Television

পঞ্চম প্রজন্মের ড্রোন আনলো তুরস্ক, গতি শব্দের চেয়েও বেশি

দেখতে অবিকল ফাইটার জেট, কিন্তু চালকবিহীন! পঞ্চম প্রজন্মের এমন এক আকাশযান উদ্ভাবন করেছে তুরস্ক। যা ছুটতে পারে শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে। আধুনিক কমব্যাট মিশনে এটি যুদ্ধবিমানের ভূমিকা পালনে সক্ষম বলে দাবি আঙ্কারার। সম্প্রতি সফল পরীক্ষাও চালিয়েছে বায়কারের তৈরি মানুষবিহীন এই আকাশযান- কিজিলেলমা।

শক্তিশালী আর অত্যাধুনিক ড্রোন ভাণ্ডারের জন্য বরাবরই সুপরিচিত তুরস্ক। নিজস্ব প্রযুক্তিতে উদ্ভাবিত একের পর এক মনুষ্যবিহীন আকাশযান বানিয়ে সক্ষমতার জানান দিয়েছে ইউরেশিয়ান দেশটি। আর এ তালিকায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য- তুরস্কের খ্যাতনামা সমরাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বেয়কার টেকনোলোজিস। যা জন্ম দিয়েছে টিবি-টু, আকিনঝির মতো মনুষ্যবিহীন যুদ্ধযানের।

সেই বেয়কারই এবার আনলো নতুন আরেক আকাশযান। যার নাম, কিজিলেলমা। সম্প্রতি, ড্রোনটির চতুর্থ প্রোটোটাইপের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে এরদোয়ান প্রশাসন। দেখতে ফাইটার জেটের মতো হলেও আদতে এটি একটি চালকবিহীন যুদ্ধযান। যেটি পঞ্চম প্রজন্মের বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।

শুধু দেখতেই নয়, কাজেও ফাইটার জেটের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় কিজিলেলমা। তুরস্কের দাবি- যুদ্ধ পরিস্থিতিসহ নানা ধরনের কমব্যাট মিশন পরিচালনায় সক্ষম এটি। যা মোতায়েন করা হবে তুরস্কের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয়।

বেয়কারের তথ্যানুযায়ী, তুরস্কের সর্বপ্রথম জেট ফুয়েল চালিত ড্রোন কিজিলেলমা। যেখানে ব্যবহার করা হয়েছে ইউক্রেনীয় প্রতিষ্ঠানের তৈরি এআই-৩২২ এফ মডেলের একটি ইঞ্জিন। যা শব্দের গতির চেয়ে দ্রুত ছুটতে সক্ষম।

মাত্র সাড়ে ১৪ ফুট দৈর্ঘ্যের এই মনুষ্যবিহীন আকাশযানটি বহন করতে পারে দেড় টনের পে-লোড। আর উড়তে পারে সর্বোচ্চ ৪৫ হাজার ফুট উচ্চতায়। একটানা তিন ঘণ্টারও বেশি সময় আকাশে স্থায়ী হতে পারে কিজিলেলমা। লেজার গাইডেড যুদ্ধাস্ত্রের পাশাপাশি এতে, বহন করা যায়, দুরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও।

বর্তমানে তিনটি সংস্করণ রয়েছে কিজিলেলমা আকাশযানের। এগুলোর কোনো কোনোটি শব্দের চেয়ে বেশি আবার কম গতিতেও ছুটতে পারে। বর্তমানে ৩৫টির মতো দেশ তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে থাকে।

/এটিএম

Exit mobile version