উত্তরপ্রদেশের কানপুরে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দুই প্রকৌশলী—বিনীত কুমার দুবে ও প্রমোদ কাটিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ডাক্তার আনুশকা তিওয়ারি, যিনি একজন দন্তচিকিৎসক, প্রায় দুই মাস লুকিয়ে থাকার পর সোমবার (২৬ মে) স্থানীয় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। মঙ্গলবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি নিউজ এ তথ্য জানায়।
নিহত বিনীত কুমার দুবের স্ত্রী জয়া ত্রিপাঠী গত ৯ মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, গত ১৩ মার্চ তার স্বামীর চুল প্রতিস্থাপন করা হয় এবং ১৫ মার্চ অন্য একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
জয়া ত্রিপাঠীর দাবি, পুলিশ প্রথমে বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি, তাই অভিযোগ দায়ের করতে দেরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ কক্ষে অভিযোগ করার পরই ৯ মে পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে।
সরকারি আইনজীবী দিলীপ সিং বলেন, ‘ডাক্তার আনুশকা তিওয়ারির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার ক্ষেত্রের বাইরে একটি অস্ত্রোপচার করেছেন। এ বিষয়ে আমাদের পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে। কানপুরের কাকাদেভ থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আনুশকা তিওয়ারি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। আজ তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং তাকে জেলে পাঠানো হয়েছে।’
জয়া ত্রিপাঠীর অভিযোগ অনুযায়ী, ১৪ মার্চ তাকে ফোন করে জানানো হয় যে তার স্বামীর মুখ ফুলে গেছে। তিনি ডাক্তার আনুশকা তিওয়ারির যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হননি।
জয়া দাবি করেন, ‘আমি সেই রাত ১১টার দিকে আবার ডাক্তার আনুশকা তিওয়ারিকে ফোন করি এবং তিনি স্বীকার করেন যে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই তিনি অস্ত্রোপচার করেছেন। এই কথোপকথনের রেকর্ডও আমার কাছে রয়েছে।’
জয়া তার স্বামীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন, যেখানে ১৫ মার্চ তার মৃত্যু হয়। তিনি অভিযোগ করেন যে সেই দিন থেকে ডাক্তার তিওয়ারি নিখোঁজ ছিলেন।
/এআই
Leave a reply