Site icon Jamuna Television

এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বাজেট, উত্তরণ মিলবে কি?

খাতা কলমে কমছে মূল্যস্ফীতি। কিন্তু স্বস্তি কি মিলছে? বিপুল সংখ্যক মানুষের উত্তর না- সুফল মিলছে না। বাড়ছে না মজুরি। কর্মসংস্থানেও নেই সুখবর। অভ্যন্তরীণ আয়েও ছন্দপতন। উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়নে নেই চাঞ্চল্য। আছে ঋণ পরিশোধের চাপও। বলা যায়, অর্থনীতিতে এখন উলট-পালট অবস্থা। পরিবর্তিত সময়ে এসেছে বাজেট।

পাইকারি বাজার হিসেবে কারওয়ান বাজারে একটু কম টাকায় পাওয়া যায় পণ্য। তাই অনেকেরই এখন ভরসা সেখানে।

আয়ের কাছে প্রতিনিয়তই হার মানছে পণ্যের দাম। মূল্যস্ফীতি এখনও নিয়ন্ত্রণহীন। সরকারি হিসাবে সূচক কিছুটা নিম্নমুখী হলেও স্বস্তি কি মিলছে?

পণ্যের প্রকৃত যে দাম তার চেয়ে বেশি দামে কেনার অর্থই মূল্যস্ফীতি। সাধারণ মানুষদের জন্য বাজেটে কী বার্তা দেবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম কিছুটা কমছে কিন্তু অন্যান্য খরচের বেলায় তো কেউ কমায় না।

ভিন্ন এক পেক্ষাপটে এসেছে বাজেট। সম্ভাব্য আকার সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ কোটি টাকার বেশি। যা জিডিপি’র ৪ শতাংশের কিছুটা বেশি। উন্নয়ন ব্যয় অর্থাৎ এডিপি চূড়ান্ত হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে কম।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, যাচাই বাছাই করে অপচয়মূলক বাজেট কমিয়ে অন্য খাতে বাড়ানো উচিত। এই ব্যবস্থাপনার উন্নতি অবশ্যই করা উচিত।

ভর্তুকি এবং প্রণোদনা খাতে সম্ভাব্য বরাদ্দ ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। বা অভ্যন্তরীণ আয়েই নির্ভর হতে চায় সরকার। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য ধরা হচ্ছে সাড়ে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে প্রচলিত ব্যবস্থাপনায় কীভাবে আয় বৃদ্ধি করা সম্ভব? এমন প্রশ্নের জবাবে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, যে টাকা করদাতা দিয়েছে কিন্তু রাজস্ব কোষাগারে জমা হয়নি, সেটা জমা করা গেলে সার্বিকভাবে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা কমবে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগের অবস্থা খুবই দুর্বল, এটা থেকে বের হওয়া কঠিন হবে যদি বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা না কাটে। এছাড়া আমাদের রাজনৈতিক ও পলিসির অনিশ্চয়তা আছে।

বাজেটে সরকারি কর্মচারিদের জন্য আসছে মহার্ঘ্য ভাতার ঘোষণা। আগামী বাজেটের মূল দর্শন ‘সমতাভিত্তিক কল্যাণমুখী রাষ্ট্র’। সোমবার বিকাল ৪টায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

/এটিএম

Exit mobile version