সারাদেশ ডেস্ক:
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। শুক্রবার (৬ জুন) সকালে এসব জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলাগুলো হলো— চাঁদপুর, সাতক্ষীরা, ভোলা, গাজীপুর, লালমনিরহাট, পটুয়াখালী, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, শেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জামালপুর ও গাইবান্ধার বেশ কিছু গ্রামের মুসল্লিরা নিজ নিজ এলাকার ঈদগাহে জামাতে অংশ নেন।
সাতক্ষীরা সদরের কুশখালি ইউনিয়নের বাউখোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে। এতে ইমামতি করেন মাওলানা মহব্বত আলী। তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আমরা ঈদের জামাত করে আসছি।
গাজীপুর সদর উপজেলার পূর্ব ডগরী এলাকায় পবিত্র ঈদুল আজহার জামাত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে প্রায় ৮০ থেকে ১০০ জন মুসল্লি অংশ নেন। স্থানীয়রা জানান, সৌদি আরবের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে তারা প্রতিবছরই ঈদ উদযাপন করে থাকেন। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। তবে তারা জানান, কোরবানির পশু জবাই করা হবে বাংলাদেশের সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত ঈদের দিনেই।
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কয়েকটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের সুন্দ্রাহবী মুন্সিপাড়ায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ।
শরীয়তপুরের ছয় উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। এই ঈদ উদযাপন করেন সুরেশ্বর দরবার শরিফের অনুসারীরা।
শেরপুরের সাত গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। প্রতিটি জামাতে আড়াই’শ থেকে ৩শ’ মুসল্লি অংশ নেন। এসব জামাতে পুরুষ মুসল্লিদের পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও পর্দার ভেতরে নামাজ আদায় করেন। নামাজের পর তারা অংশ নেন প্রীতিভোজে। গ্রামগুলো হলো—শেরপুর সদর উপজেলার উত্তর চরখারচর ও দক্ষিণ চরখারচর, নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী পশ্চিমপাড়া ও গোবিন্দনগর ছয়আনি পাড়া, নকলা উপজেলার চরকৈয়া ও নারায়নখোলা এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার বনগাঁও চতল।
জামালপুরের ইসলামপুর ও সরিষাবাড়ি উপজেলার ২০টি গ্রামের মানুষ সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। ঈদ পালনকারী মুসল্লিরা মনে করেন, ইসলামী শরিয়া মোতাবেক পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ উদযাপন করা যায়।
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর ও পলাশবাড়ী উপজেলার দুটি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই দুই গ্রামের ৩০টি পরিবারের সহিহ হাদিস অনুসারীরা একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরিফসহ জেলার চারটি উপজেলার প্রায় ৪০টি গ্রামে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে। এলাকাগুলো হলো—হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপপুর, বাসারা; ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর; মতলব উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী; কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার কয়েকটি গ্রাম।
সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে মাদারীপুরেও ঈদ উদযাপন করেছেন ২৫ গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। জেলার সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে সদর উপজেলার তাল্লুক গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
ভোলার সাত উপজেলার ১৫টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করেছেন। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের চারটি গ্রাম ও পটুয়াখালীর ২৫টি গ্রামে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
/এসআইএন/এমএইচআর
Leave a reply