Site icon Jamuna Television

ট্রাম্প-মাস্ক দ্বন্দ্ব: কার হাতে কার্ড?

সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ধনকুবের ইলন মাস্কের মধ্যে তীব্র বিরোধ তৈরি হয়েছে। তাদের সম্পর্কের ভাঙন এখন প্রকাশ্য, যা রিপাবলিকান রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

গত সপ্তাহে মাস্ক ও ট্রাম্পের মধ্যে ব্যক্তিগত আক্রমণ শুরু হয়। মাস্ক শুধু ট্রাম্পকে সমালোচনা করেই থামেননি, বরং রিপাবলিকান দলের ভেতরে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি এমনকি তৃতীয় একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কথাও বলেন।

সিএনএন‘র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাস্ক বলেন, ‘ট্রাম্পের মেয়াদ আছে সাড়ে তিন বছর, কিন্তু আমি থাকব আরও ৪০ বছর।’ এ বক্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, রিপাবলিকান নেতাদের সঙ্গে মাস্কের স্পষ্ট দূরত্ব তৈরি হয়েছে।

তবে বাস্তবতা হলো, রিপাবলিকান পার্টির অধিকাংশ নেতা এখনো ট্রাম্পকেই সমর্থন দেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স কিছু সময় চুপ থাকলেও শেষ পর্যন্ত ট্রাম্পের পক্ষেই অবস্থান নেন।

স্টিভ ব্যাননের মতো ট্রাম্পপন্থীরা মাস্ককে সরাসরি আক্রমণ করেন। ব্যানন বলেন, মাস্ককে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করা উচিত। যদিও মাস্ক এখন একজন বৈধ মার্কিন নাগরিক।

মাস্ক রাজনীতিতে নতুন হলেও প্রযুক্তি দুনিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে তার প্রভাব অপরিসীম। তিনি এখন একাধিক জনমত জরিপে ট্রাম্প ও ভ্যান্সের কাছাকাছি জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। এপ্রিলের একটি জরিপে দেখা যায়, ৫৪% রিপাবলিকান ট্রাম্পকে খুবই পছন্দ করেন, যেখানে মাস্কের জন্য এই সংখ্যা ৪৩%।

মাস্কের অনেক উদ্যোগও রিপাবলিকানদের কাছে জনপ্রিয়। নিউ ইয়র্ক টাইমসের জরিপে দেখা গেছে, ৬৩% রিপাবলিকান মাস্কের ব্যয়ের কাটছাঁটকে সমর্থন করেন।

তবে মাস্ককে সবাই অতিরিক্ত ক্ষমতা দিতে চান না। এক জরিপে দেখা যায়, মাত্র ৮% রিপাবলিকান মনে করেন মাস্কের আরও ক্ষমতা প্রয়োজন।

তবুও মাস্কের শক্তি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম X-এর মালিক। তিনি নিজের পছন্দের প্রচারণা চালাতে এবং প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করতে সক্ষম।

/এমএমএইচ

Exit mobile version