Site icon Jamuna Television

গাজায় হামাস কমান্ডার সিনওয়ারের মৃতদেহ উদ্ধার, দাবি আইডিএফের

হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ সিনওয়ারের মরদেহের সন্ধান পাওয়া সুড়ঙ্গের ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাবাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, গাজায় হামাসের সামরিক নেতা মোহাম্মাদ সিনওয়ারের মৃতদেহ খান ইউনিস শহরের ইউরোপিয়ান হাসপাতালের নিচে একটি সুড়ঙ্গে পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সময় রোববার (৮ জুন) এক বিবৃতিতে তারা দাবি করে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে—যদিও হামাস এখনও তার মৃত্যু আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি।

গত ১৩ মে একটি বিমান হামলায় সিনওয়ার নিহত হন বলে দাবি আইডিএফের। হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থার মতে, সেই হামলায় ২৮ জন নিহত হয়।

সিনওয়ারের মৃতদেহের পাশেই হামাসের রাফাহ ব্রিগেডের কমান্ডার মোহাম্মাদ সাবানেহরের মরদেহও পাওয়া যায়। সুড়ঙ্গে সিনওয়ার ও সাবানেহর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং গোয়েন্দা উপকরণ উদ্ধার করা হয়েছে বলে আইডিএফ জানায়।

আইডিএফ সাংবাদিকদের নিয়ে গাজায় প্রবেশ করে ইউরোপিয়ান হাসপাতালের সামনে খননকৃত একটি সরু সুড়ঙ্গের প্রবেশপথ দেখায়। ভিডিওতে দেখা যায়, দীর্ঘ, অন্ধকার সুড়ঙ্গের শেষে কয়েকটি কক্ষ। কিছু কক্ষে পোশাকের স্তূপ, প্লাস্টিকের চেয়ার এবং দেওয়ালে হেলান দেয়া একটি রাইফেল। এছাড়াও একটি মৃতদেহকে দড়ি দিয়ে টেনে বের করা হচ্ছে (যার পরিচয় নিশ্চিত হয়নি)।

আইডিএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেন, ‘এটি হামাসের আরেকটি কৌশল—সিভিলিয়ানদের ‘হিউম্যান শিল্ড’ এবং হাসপাতালের মতো স্থাপনা ব্যবহার করা।’ 

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে হামাসের বিরুদ্ধে হাসপাতাল, স্কুল ও বেসামরিক স্থাপনায় অস্ত্র ও কমান্ড সেন্টার গড়ে তোলার অভিযোগ করে আসছে, যা হামাস অস্বীকার করে।

উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলের হাসপাতাল অবরোধ ও হামলায় স্বাস্থ্যব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসস্তূপে। গত এপ্রিলে আল-আহলি হাসপাতালে হামলার পর জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবিক আইন অনুযায়ী, হাসপাতাল, চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষার সব ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। তবে গাজার স্বাস্থ্যকর্মীরা বারবার হামাসের হাসপাতাল ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

/এআই

Exit mobile version