Site icon Jamuna Television

ইরান-ইসরায়েল ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ ছড়িয়ে পরার শঙ্কা বিশ্লেষকদের

ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে বাজছে যুদ্ধের দামামা। এই পরিস্থিতিতে অঞ্চলটিতে সর্বাত্মক যুদ্ধ ছড়িয়ে পরার শঙ্কা জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তেল আবিবের হামলার জবাবে তেহরান কী ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখায়, তার উপর নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যের ভবিষ্যত— এমনটাই মনে করেন কেউ কেউ। অপরদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তেহরানকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়ার কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুত পরমাণু ইস্যুতে সমঝোতায় আসার পরামর্শ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ইরান পডকাস্টের উপস্থাপক নিগার মোরতোজাভি বলেন, ইসরায়েলি হামলার জবাব না দিলে ইরানে তেলআবিবের আরও জোরালো হামলার শঙ্কা রয়েছে। ইরান এটাও জানে হামলার প্রতিশোধ না নিলে ইসরায়েলের সাহস আরও বেড়ে যাবে। এটি একটি অন্যরকম মুহূর্ত। তেহরানের সামনে নিরাপদ বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, ইরানের দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করলে, তাদের উচিৎ হবে একটি ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দেখানো, যেন যুদ্ধ বড় পরিসরে ছড়িয়ে না পরে। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নষ্ট করতে ইসরায়েল এই হামলা চালিয়ে একটি ফাঁদ তৈরি করেছে। ফাঁদে পা দেয়া মাত্রই যুক্তরাষ্ট্র এই সংঘাতে জড়িয়ে যাবে। আমাদের দেখতে হবে ইরান কোন পথে এগোয়।

এদিকে, ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছেন, দু’মাস আগেই সতর্ক করা হয়েছিলো তেহরানকে। দ্রুত পরমাণু ইস্যুতে সমঝোতায় আসার পরামর্শও দেয়া হয়েছিল। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ঠিক করতে তেহরানকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়া যেতে পারে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে বিশ্লেষকদের ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ না মেনে এই হামলার কঠোর জবাব দেবে ইরান; আর এমনটা হলে সংঘাতে জড়িয়ে পরবে যুক্তরাষ্ট্র। যার পরিণতি হবে আরও ভয়াবহ।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র, সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে অপারেশন রাইজিং লায়ন চালায় ইসরায়েল। হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশটির প্রধান পারমাণবিক স্থাপনা- নাতাঞ্জ। জবাবে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায় তেহরানও।

/এমএইচআর

Exit mobile version