শক্তভাবে ইরানের পাশে নেই আরব বিশ্বের কোনো দেশ

|

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে তেহরানের পক্ষে এখনও শক্তভাবে দাঁড়ায়নি আরব বিশ্বের কোনো দেশ। যুদ্ধক্ষেত্রে সরাসরি সহায়তা প্রদান তো দূরের কথা, কিছু দেশ দিয়েছে নিরপেক্ষ বিবৃতি। জর্ডান, কাতারসহ কয়েকটি আরব দেশ অবশ্য ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে আরব বিশ্বের অবস্থান নিয়ে। শুরুতে নিশ্চুপ থাকলেও ধীরে ধীরে মুখ খোলে বিভিন্ন আরব দেশ, জানান দেয় নিজেদের অবস্থান।

এদিকে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ছোড়া ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিয়মিতই নিজেদের আকাশসীমায় ভূপাতিত করছে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশ জর্ডান। ইরানে হামলায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে দেশটির বিরুদ্ধডই

তবে, মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে এ সংঘাত নিয়ে মুখ খুললেন জর্ডানের বাদশাহ আব্দুল্লাহ দ্বিতীয়। কিছুটা দ্বিমুখি অবস্থান নিলেও জানান ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা।

তিনি বলেন, ইসরায়েল তার আক্রমণের পরিসর ইরান পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে। এই যুদ্ধক্ষেত্রের সীমানা কোথায় গিয়ে থামবে তা বলা কঠিন। এটা সারা বিশ্বের মানুষের জন্য হুমকি।

অন্যদিকে, ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিরসনে কাতার নিয়মিত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। সরাসরি ইরানের পক্ষে অবস্থান না নিলেও দেশটির পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্টভাবে নিন্দা জানাতে হবে। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও পরিষ্কার করে জানিয়ে দেয়া উচিৎ যে, এই অঞ্চলের পারমাণবিক বা জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হলে তার ফলাফল হতে পারে কল্পনারও বাইরে।

অন্যদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ সতর্ক করে বলেন, যেকোনও ‘অপরিকল্পিত এবং বেপড়োয়া’ পদক্ষেপের কারণে ইরান ও ইসরায়েলের সীমানার বাইরে সংঘাত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সংকট নিরসনে দু’ পক্ষের সাথেই যোগাযোগ রক্ষা করছে তারা। তবে, ইরান-ইসরায়েল সংকটে এখনও মুখ খোলেনি সিরিয়া।

এরআগে সোমবার একটি যৌথ বিবৃতিতে ইরানে ইসরায়েলি আক্রমণের কঠোর নিন্দা জানায় ২১টি আরব ও মুসলিম দেশ।

/এমএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply