চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপাজয়ী পিএসজিকে এবার মাটিতে নামিয়ে আনলো ব্রাজিলের দল বোটাফোগো। এই জয়ে (২ জয়, ০ ড্র, ০ হার— ৬ পয়েন্ট) এককভাবে গ্রুপ বি-এর শীর্ষে অবস্থান করছে বোটাফোগো। পিএসজি দুই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে এখন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পিএসজিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় বোটাফোগো। এ জয়ে একটি রেকর্ডও করেছে তারা। শেষ ১৩ বছরে ইউরোপের কোনো দলকেই হারাতে পারেনি দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল। সে খরাটা আজ কাটালো ব্রাজিলের এই ক্লাবটি।
ম্যাচে অবশ্য সব দিক থেকেই আধিপত্য ছিল পিএসজির। বলের দখল থেকে শুরু করে পাস, শট, সবকিছুই বেশি ছিল পিএসজির। তবে সবচেয়ে মূল্যবান জায়গাতেই আধিপত্য দেখিয়েছে বোটাফোগো। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে জেফারসন সাভারিনো মাঝমাঠ থেকে একটি পাস আক্রমণভাগে পাঠান। ইগর জেসুস দৌড়ে এসে দুই পিএসজি ডিফেন্ডারের মাঝ থেকে বলের দখল নেন। এরপর ডি-বক্সের প্রান্ত থেকে শট নেন। বল একবার বাউন্স করে জালের নিচের বাম কোণে জড়িয়ে পড়ে। উল্লাসে ফেটে পড়ে বোটাফোগো সমর্থকরা।
এরপর যেন গোল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। একের পর এক শট মারতে থাকে বোটাফোগোর রক্ষণভাগে। তবে পিএসজি মোট ১৬টি শট নিলেও গোলমুখে ছিল মাত্র ২টি। অন্যদিকে বোতাফোগো ৪টি শট নেয় এবং তার সবকটিই ছিল অন টার্গেটে। এই কার্যকারিতাই শেষ পর্যন্ত পার্থক্য গড়ে দেয়।
/এমএইচ
Leave a reply