নিউইয়র্ক সিটির ডেমোক্র্যাটিক প্রাইমারিতে চমক সৃষ্টি করেছেন তরুণ বামপন্থী নেতা জোহরান মামদানি। সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে তিনি ডেমোক্র্যাট দলের মেয়র প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে গেছেন।
৩৩ বছর বয়সী মামদানি নিজেকে একজন সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিক হিসেবে পরিচয় দেন। প্রাইমারিতে বিজয়ের পর তিনি বলেন, ‘আজ ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছে।’
যদি জোহরান নির্বাচিত হন, তাহলে তিনিই হবেন নিউইয়র্ক সিটির প্রথম মুসলিম এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূত মেয়র।
অন্যদিকে, ৬৭ বছর বয়সী কুমো ২০২১ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে পদত্যাগ করার পর রাজনীতিতে ফিরতে চেয়েছিলেন। ভোটের ফলাফলের পর তিনি মামদানিকে ‘চমৎকার এবং বুদ্ধিদীপ্ত প্রচারণার’ জন্য অভিনন্দন জানান।
নির্বাচনের ফল এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, মামদানি পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। যদিও তিনি এখনও সরাসরি ৫০ শতাংশ ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। নিউইয়র্কে র্যাংকড চয়েস ভোটিং ব্যবস্থায় গণনা আগামী সপ্তাহেও চলতে পারে।
জোহরান মামদানি জন্মেছেন উগান্ডায়। সাত বছর বয়সে তিনি নিউইয়র্কে চলে আসেন। প্রচারণায় তিনি উর্দু ও স্প্যানিশ ভাষায় ভিডিও বানান এবং বলিউড ক্লিপ ব্যবহার করেন। তার বক্তব্যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন এবং ইসরায়েলবিরোধী অবস্থান ডেমোক্র্যাটিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মতবিরোধ সৃষ্টি করে।
মামদানি বলেন, ‘এই শহরে প্রতি চারজনের একজন দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। পাঁচ লাখ শিশু প্রতিরাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমায়। এই শহর তার বৈচিত্র্য হারাচ্ছে।’
তার নির্বাচনী ইশতেহারে রয়েছে—ফ্রি পাবলিক বাস, সার্বজনীন শিশু দেখভাল, ভর্তুকিপ্রাপ্ত বাসাভাড়ায় স্থবিরতা, এবং সরকারি মুদির দোকান চালু—যার অর্থ জোগান আসবে ধনীদের ওপর নতুন কর বসিয়ে।
মামদানিকে সমর্থন দিয়েছেন কংগ্রেসওম্যান আলেকজান্দ্রিয়া ওকাসিও কোর্তেজ ও সিনেটর বার্নি স্যান্ডার্স।
/এমএমএইচ

