Site icon Jamuna Television

আবু সাঈদ হত্যা: সাবেক বেরোবি ভিসিসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। একইসাথে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদ বাচ্চু, প্রক্টর শরীফুল ইসলাম সহ রংপুর ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২ এর বিচারক এই আদেশ দেন।

এর আগে, সকালে জুলাই অভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। সেখানে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টরসহ ৩০ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে পুলিশ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে।

আসামিদের মধ্যে, ইতোমধ্যে কারাগারে আছেন ৪ জন। তারা হলেন পুলিশ কর্মকর্তা আমির হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান চৌধুরী। এই ৪ জন বাদে বাকি ২৬ জনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলো ট্রাইব্যুনাল।

আজকের শুনানিতে আসামিদের ভূমিকা তুলে ধরেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। শুনানিতে তিনি বলেন, আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ছাড়াও রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক উপকমিশনার (অপরাধ) মো. আবু মারুফ হোসেনের দায় রয়েছে।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, উল্লিখিত আসামি ঊর্ধ্বতন অবস্থানে থেকে যৌথভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। তা পেয়েই আসামি এএসআই (সশস্ত্র) মো. আমীর হোসেন, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্য সদস্যদের মাধ্যমে ঘটনাস্থলে আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে গুলি চালিয়ে নিরস্ত্র আবু সাঈদকে হত্যা করা হয়। সেই সঙ্গে কমপক্ষে চারজনকে আহত করা হয়।

আবু সাঈদ হত্যার বিচার চেয়ে তার পরিবার গত ১৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দেয়। সেই মামলার তদন্ত শেষ করেছে তদন্ত সংস্থা, প্রতিবেদন হাতে পায় প্রসিকিউশন। তদন্তে হত্যাকাণ্ডে ৩০ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।

/এএস

Exit mobile version