
আগামী বছর অনুষ্ঠিতব্য ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে পরিবেশ দূষণকারী টুর্নামেন্ট— এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে পরিবেশ বিষয়ক গবেষণা সংস্থা সায়েন্টিস্টস ফর গ্লোবাল রেসপনসিবিলিটি (এসজিআর)।
১০৪ ম্যাচের বিশ্বকাপে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে ৯ মিলিয়ন টনেরও বেশি। যা আগের চারটি বিশ্বকাপের গড় নির্গমনের প্রায় দ্বিগুণ। বিশ্বকাপের ম্যাচের সংখ্যা বৃদ্ধি ও আকাশ পথে যাতায়াতই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা।
ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ২০২৬ বিশ্বকাপের কাউন্টডাউন। প্রথমবারের মতো তিন দেশে হবে এবারের আসর। মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় প্রথম বারের মত ৪৮ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গ্র্যাটেস্ট শো অন আর্থ। ১৬টি শহর, ১০৪টি ম্যাচ সেই সাথে পঞ্চাশ লাখ দর্শকের উপস্থিতি। শুধু তাই নয় টিভি পর্দায় চোখ থাকবে ৬০০ কোটি ফুটবলপ্রেমীর।
তবে এই বিশ্বকাপ নিয়ে এমন একটি তথ্য সামনে এসেছে যা শুনার পর সবারই চোখ কপালে উঠবে। সবচেয়ে বেশি পরিবেশনাসী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে নতুন আঙ্গিকের এই বিশ্ব টুর্নামেন্ট। এমনটাই দাবি করেছে পরিবেশবিষয়ক গবেষণা সংস্থা এসজিআর।
এসজিআরের সূত্রমতে এই বিশ্বকাপে কার্বন ডাইঅক্সাইডের নির্গমন হবে গড়ে প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ গাড়ি এক বছর চালালে যতটা হয় তার সমান। এতে করে ২০২৬ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে জলবায়ু-ক্ষতিকর টুর্নামেন্ট।
পরিবেশ সংরক্ষণে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা ইনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্স ফান্ড ও স্পোর্ট ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক এর তথ্যমতে বিশ্বকাপের আকার বৃদ্ধির পাশাপাশি দীর্ঘ ভ্রমণ, বিশেষ করে আকাশপথে যাতায়াতই এর প্রধান কারণ বলে মনে করছেন গবেষকরা। ভৌগোলিক বিস্তৃতির কারণে দূষণের পরিমাণ বহুগুণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফিফা অবশ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি পরিবেশ দূষণ নিয়ে। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং ২০৪০ সালের মধ্যে নেট-জিরো লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
/এমএইচআর



Leave a reply