Site icon Jamuna Television

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় অস্ত্রসহ গ্রেফতার ৪

গ্রেফতার মহিন (বাঁয়ে) ও রবিন।

ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল এলাকায় ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর মধ্যে যৌথবাহিনীর অভিযানে এজহারনামীয় আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) ও তারেক রহমান রবিনকে (২২) গ্রেফতার করা হয়েছে। তারেক রহমান রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

শুক্রবার (১১ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বুধবার বিকেল ৬টার দিকে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর কোতয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য তা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি মাহমুদুল হাসান মহিন ও তারেক রহমান রবিনকে গ্রেফতার করে। এ সময় রবিনের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব এবং পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে র‍্যাব আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার হলো।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগকে পিটিয়ে ও ইট-পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। তারপর মরদেহের ওপর চলে বর্বরতা। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা বেশ আলোচনা সৃষ্টি করেছে।

/এমএন

Exit mobile version