Site icon Jamuna Television

সিরিয়ায় আইডিএফ’র তাণ্ডব, কোথায় থামবে ইসরায়েল?

২১ মাস আগে গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে ইসরায়েল; পশ্চিম তীর, লেবানন, ইয়েমেন, ইরান হয়ে তা এখন পৌঁছেছে সিরিয়ায়। দেশটির ভূখণ্ডে বিভিন্ন সময় বিচ্ছিন্ন হামলা চালালেও, এবার দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার অজুহাতে রীতিমতো তাণ্ডব শুরু করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী— আইডিএফ। যেভাবে মধ্যপ্রাচ্যের একের পর এক দেশ নেতানিয়াহু প্রশাসনের আগ্রাসনের শিকার হচ্ছে, এতে প্রশ্ন উঠছে, এই ইসরায়েল থামবে কোথায়?

সম্প্রতি ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার হয়েছে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবন। যা ধরা পড়ে টেলিভিশনের লাইভ ব্রডকাস্টে। দ্রুজ সম্প্রদায়কে রক্ষার অজুহাতে রাজধানী দামেস্কসহ একাধিক অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। লক্ষ্য বানানো হয়েছে বেশকয়েকটি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অপারেশন আয়রন সোর্ড নামে গাজায় যে আগ্রাসন শুরু করেছিলো ইসরায়েল, তা যেন একের পর এক দেশে আরও বিস্তৃত করছে দেশটি। যার সবশেষ শিকার সিরিয়া। এর আগে, সিরিয়ায় একাধিকবার বিচ্ছিন্ন হামলা চালালেও এবার বড় পরিসরে অভিযান চালাচ্ছে তারা।

২১ মাস ধরে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। শুধু কি গাজা? ফিলিস্তিনিদের আরেক আবাসস্থল পশ্চিমতীরেও চলছে লাগাতার তাণ্ডব। গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ঘরবাড়ি, চালানো হচ্ছে নির্বিচার গুলি।

হিজবুল্লাহ’র সাথে সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক আরব দেশ লেবাননও হয়েছে ইসরায়েলি হামলার শিকার। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত, রাজধানী বৈরুতসহ বিভিন্ন শহরে বোমা ফেলা হয়েছে। অবশ্য চুক্তি হওয়ার পর আগ্রাসনের মাত্রা কমলেও হামলা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।

ইসরায়েলি বর্বরতার হাত থেকে রেহাই পায়নি ইয়েমেনও। গাজায় আগ্রাসনের প্রতিবাদে হুতির প্রতিরোধের জবাবে রাজধানী সানাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বহু সামরিক ও বেসামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায় আইডিএফ। প্রাণ যায় নারী, শিশুসহ বহু বেসামরিক নাগরিকের।

গত জুন মাসে ইরানও সাক্ষী হয়েছে ইসরায়েলি আগ্রাসনের। ১২ দিনের সংঘাতে দেশটির বিভিন্ন স্থানে আইডিএফের হামলায় প্রাণ যায় ৯ শতাধিক মানুষের, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক। এছাড়া ইরাকেও কয়েক দফায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। একের পর এক দেশকে লক্ষ্য বানিয়ে যেভাবে বর্বরতা চালাচ্ছে তেলআবিব, তাতে প্রশ্ন উঠছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরের লক্ষ্য কোন ভূখণ্ড?

/এমএইচআর

Exit mobile version