
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লোই ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যয়সংকোচনের ফলে ২০২৬ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উন্নয়ন সহায়তা ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি কমে যাবে।
সম্প্রতি তাদের নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়, সহায়তা কমে ২০২৩ সালের ২৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৬ সালে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসবে, যা মহামারি-পূর্ব গড় ৩৩ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় অনেক কম।
দ্বিপাক্ষিক সহায়তাও ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ২০২৩ সালের ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৬ সালে হবে মাত্র ৯ বিলিয়ন ডলার। এই কাটছাঁটের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে দরিদ্র দেশগুলোতে, বিশেষ করে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নাগরিক সমাজভিত্তিক প্রকল্পগুলিতে।
ইউরোপ ও যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির কারণে সহায়তা কমাচ্ছে, যেখানে নেটো সদস্যরা জিডিপির ৫% পর্যন্ত ব্যয় বাড়াতে চায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও সাতটি ইউরোপীয় সরকার ২০২৫ থেকে ২০২৯ সালের মধ্যে ১৭.২ বিলিয়ন ডলার অনুদান কমাবে, আর যুক্তরাজ্য বছরে ৭.৬ বিলিয়ন ডলার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।
সবচেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে, যেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউএসএইড বন্ধ করে প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার সহায়তা ছাঁটাই করেছেন। পরে সিনেট আরও ৮ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নেয়।
লোই ইনস্টিটিউট বলছে, এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উন্নয়ন সহযোগিতায় চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর গুরুত্ব বাড়বে। ২০২৩ সালে চীনের বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা ৪.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে, যদিও তা মূলত অবকাঠামোভিত্তিক। তবে চীনের বাণিজ্যিক হারে দেওয়া ঋণ দরিদ্র দেশগুলোর জন্য তুলনামূলক কম উপযোগী।
দুই দেশই এখন নাগরিক সমাজ, গণতন্ত্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর সুরক্ষায় সহায়তা দিচ্ছে, তবে তারাও যুক্তরাষ্ট্রের চাপে প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে, যার ফলে উন্নয়ন সহায়তা কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জাপানি অধ্যাপক শিগা হিরোআকি বলেন, ‘জাপানের বিশাল বাজেট ঘাটতি ও করবৃদ্ধির বিরোধিতা থাকায় অনুদান বাজেট কেটে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা হতে পারে।’
সূত্র: আল জাজিরা।
/এআই



Leave a reply