গামিনী অধ্যায় শেষ হচ্ছে মিরপুরে, পাঠানো হচ্ছে ঢাকার বাইরে

|

শেষ হচ্ছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে গামিনী ডি সিলভা অধ্যায়। একপ্রকার বিরক্ত হয়েই মিরপুর থেকে সরিয়ে ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে গামিনীকে। হোম অব ক্রিকেটের উইকেটের ওপর বিরক্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটর বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল-ও। তার মতে, এই উইকেট পাশ মার্কও পাবে না।

তিনি আজ সোমবার (২৮ জুলাই) উইকেট দেখছেন, পিচ কিউরেটরকে ডেকে এনে খুঁটিনাটি বোঝার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটে এই দৃশ্য বোধহয় আজই প্রথম।

কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, ভালো উইকেট বানাতে না পারলে যদি হলুদকার্ড-লালকার্ড দেয়া হতো, গামিনী ডি সিলভার ভাগ্যে কী জুটতো? স্লো-লো উইকেট বানানোয় পারদর্শী এই পিচ কিউরেটর তো বছরের পর বছর ধরে ক্রিকেট পাড়ায় নিন্দিত।

আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলছিলেন, আমরা উইকেটটা কেন বানাই? ভালো ক্রিকেট দেখার জন্য। আপনি যদি বলেন, হলুদ কার্ড-লাল কার্ডের কথা। তাহলে ইতোমধ্যে অনেকেই ১০-১২টি কার্ড খেয়ে বসে আছে।

প্রতিকী লাল কার্ড অবশ্য শ্রীলঙ্কান পিচ কিউরেটর একপ্রকার দেখতেই যাচ্ছেন! কিন্তু এত বিতর্কের পরও মিরপুরে একযুগ পার করা গামিনির চুক্তি সম্প্রতি বাড়ানো হয়েছে আরও একবার। তবে শেষ পর্যন্ত মিরপুরে থাকা হচ্ছে না তার।

বিসিবি সভাপতি বলেন, উইকেট যদি একজন ক্রিকেটার বা দলের মানোন্নয়নে প্রধান কারণ হয়, আমরা কোথাও পাশমার্ক পাবো না। আমাদের চট্টগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, রাজশাহীর উইকেট বেশ ভালো। তবে সেগুলো পরিচর্যা করতে হবে এবং খেলাও হওয়া দরকার। আমাদের বড় ম্যাচগুলো হয় মিরপুরে। এইখানকার উইকেট একেবারেই স্ট্যান্ডার্ডের নিচে।

দীর্ঘদিন ধরে এসিসি আইসিসিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিরক্ত মিরপুরের উইকেটের মাটি নিয়েও। তার মতে, কালো মাটির উইকেট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় বাধা।

আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে যে এই উইকেটের মাটি হচ্ছে কালো। বাতির অধীনে যখন খেলেন টি-টোয়েন্টিতে, এখানে একটি বল কিন্তু ব্যবহৃত হয়, একটু পরই বলটি মাটির সাথে মিশে কালো হয়ে যায়। যেই ব্যাটাররা ১৫-১৬ ওভার মানে শেষের দিকে খেলেন তখন তাদের জন্য বেশ কষ্ট হয়ে যায়।

একজন বোর্ড প্রেসিডেন্ট যখন উইকেট নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন, বোঝাই যায় একটা রান করতে নাঈম-নাসিরদের কতখানি কষ্ট করতে হয়।

বুলবলের ভাবনা, পারফর্ম্যান্স যদি চাইতেই হয়, আগে বাড়াতে হবে সুবিধা।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply