নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। বুধবার (৩০ জুলাই) মামলাটি দায়ের করা হয়।
জানা গেছে, ‘রিলায়েবল ট্রেডিং’ নামে কোনো বাস্তব প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও ইউসিবির চট্টগ্রাম পোর্ট শাখার কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই ছাড়াই একটি হিসাব খুলে দেন। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের নামে টাইম লোনের আবেদন করা হলে, শাখার কর্মকর্তারা মিথ্যা তথ্যসংবলিত পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং শাখার ক্রেডিট কমিটির সদস্যরা যাচাই ছাড়াই সেই ভুয়া প্রতিবেদনসহ ঋণের সুপারিশ পাঠান প্রধান কার্যালয়ে। ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ঋণ প্রস্তাবে ৯টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ থাকা সত্ত্বেও ৪৫৪তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় ঋণটি অনুমোদন পায়।
অনুমোদনের পর, রিলায়েবল ট্রেডিংয়ের তথাকথিত মালিক হিসেবে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট গ্রুপের একজন কর্মচারীকে সাজানো হয়। তার অনুপস্থিতিতে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের পুরো টাকা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়। পরে সেই অর্থ আরামিট সিমেন্ট পিএলসি ও আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে আনা হয়।
প্রতারণা, জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ভিশন ট্রেডিংয়ের নামে ভুয়া ঋণ অনুমোদন করিয়ে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
/এমএইচ

