গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, যেকোনো অভ্যুত্থান নতুন মানুষের জন্ম দেয়। আমরা আশাবাদী, কিন্তু আমরা দেখছি পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। শহীদের পরিবারের আর্তনাদ এখনও চলছে। শহীদ-আহত পরিবারের দায়িত্ব নেয়া সরকার কাজ ছিল, কেন তারা ব্যর্থ হলেন, তারা জবাব সরকারকে দিতে হবে। এতোবড় রাষ্ট্রযন্ত্র শহীদের তালিকা দিতে পারেন না, মর্যাদা দিতে পারেন না।
গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন একসাথে চলতে হবে’ এবং ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন’ এই দুই দাবিতে শুক্রবার (১ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ শাকিলের মা সমাবেশের উদ্বোধন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে বেঁচে থেকেও মরে যাওয়ার অবস্থা ছিল। আবু সাঈদ তা মেনে নেননি। জীবন দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। বিগত আওয়ামী সরকার দেশকে লুটপাট করে, ব্যাংক ফাঁকা করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালের শহীদের ঋণ এখনও পূরণ হয় নাই৷ আমরা শপথ নিচ্ছি ৭১ থেকে ২৪ এর শহীদের আমরা ধারণ করবো। এই শহীদদের ঋণ শোধে আমাদের ঐক্য দরকার, নয়তো আমরা আবার ব্যর্থ হবো। জনগণের ঐক্য প্রমাণ করেছে, ঐক্য থাকলে ফ্যাসিবাদ যেমন পালিয়েছে, তেমনি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থাকেও কবর দিতে পারবো।
জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ফ্যাসিবাসী রাষ্ট্রের ভিত্তি ছিল মানুষের টাকা লুট করা, ভাগ-বাটোয়ারা করা, দুর্নীতি করা, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে একক ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করা। লুটপাট-দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারল নতুন বন্দোবস্ত হবে না। আমাদের মধ্যে নারী, ধর্ম, জাতি ইস্যুতে বিভাজন করা হচ্ছে। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সবাই সকলের পরিচয়ের বাইরে আমরা সবাই দেশের নাগরিক। সবার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই ৭১ থেকে ২৪ এর শহীদের প্রতি দায় পূরণ হবে।
/এমএন

